Advertisement
০২ মে ২০২৪
Calcutta High Court

মামলার গেরোয় আটকে যোগ্য প্রার্থীরা! প্রাথমিকে কত শূন্যপদ, রাজ্যের কাছে জানতে চাইল হাই কোর্ট

বুধবার নির্দেশ দেওয়ার সময় হাই কোর্ট এও স্পষ্ট করেন, রাজ্য সরকার শিক্ষকের যে তালিকা দেবে তাতে যেন ‘সুপার নিউমেরারি’ পোস্টের উল্লেখ না থাকে।

কলকাতা হাই কোর্ট।

কলকাতা হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ২১:০৯
Share: Save:

প্রাথমিক থেকে এসএসসি— একের পর এর মামলা হচ্ছে কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলার জেরে প্রকৃত যোগ্যদের চাকরি আটকে রয়েছে, এমন অভিযোগও উঠেছে। বুধবার সেই নিয়ে পর্যদের ভূমিকায় বিরক্ত প্রকাশ করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পর্ষদের অসহযোগিতার অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে হাই কোর্টে।

২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উর্দু প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। বুধবার বিচারপতি মান্থার এজলাসে সেই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলার শুনানির সময়ই প্রকৃত যোগ্যদের চাকরির বিষয়টি উত্থাপিত হয়। যা শুনে বিরক্ত প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। তিনি নির্দেশ দেন, আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে প্রাথমিকে কোন জেলায় কত শূন্যপদ রয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যে বর্তমানে প্রাথমিকে কত জন শিক্ষক রয়েছে, তাও জানাতে বলা হয়েছে।

বুধবার নির্দেশ দেওয়ার সময় হাই কোর্ট এও স্পষ্ট করে দেয়, রাজ্য সরকার শিক্ষকের যে তালিকা দেবে তাতে যেন ‘সুপার নিউমেরিক’ পোস্টের উল্লেখ না থাকে। বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, আদালতে মামলার জন্য যে সব যোগ্য প্রার্থীর নিয়োগ আটকে আছে, তাঁদের নিয়োগ কোনও ভাবে আটকে রাখা যাবে না। রাজ্যের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আদালত তার পরবর্তী নির্দেশ দেবে, বলেও জানান বিচারপতি মান্থা।

২০১৪ সালের টেটে ভুল প্রশ্নপত্র মামলায় মামলাকারীর পক্ষে সওয়াল করেন মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনানির সময় বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, আদালতে একের পর এক মামলা হচ্ছে। দিনের পর দিন সেই সব মামলা শুনানি চলছে। যার ফলে প্রকৃত যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ পাচ্ছেন না। তাঁদের নিয়োগ আটকে রাখা হচ্ছে মামলার কথা বলে। চাকরিতে প্রকৃত যোগ্যরা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন। দিনের পর দিন এ ভাবে চাকরি না পেয়ে চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বেড়ে যাচ্ছে বলেও বুধবার এজলাসে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি।

বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘‘আদালত চায় পর্ষদ এই নিয়োগ নিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করুক। তাদের অসহযোগিতাতেই নতুন নিয়োগ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে মনে করে হাই কোর্ট।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta High Court TET
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE