Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Calcutta High Court

Calcutta High Court: স্কুলছুট কত, ছাত্রপিছু ক’জন শিক্ষক, উত্তর দিতে না পারায় রাজ্যকে তিরস্কার হাই কোর্টের

বিচারপতি প্রশ্ন করেন, রাজ্য কি কোনও তথ্য ছাড়াই স্কুল চালাচ্ছে? এর জন্য একটা দিনই যথেষ্ট। তথ্য না থাকাটাই বিস্ময়কর।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২১ ১৪:০৬
Share: Save:

স্কুলছুট নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় হাই কোর্টে তিরস্কৃত রাজ্য। করোনায় পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে এমনিতেই। তার উপর পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষকের অভাবে স্কুলছুটের সংখ্যাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। সেই নিয়ে একটি মামলার শুনানিতে রাজ্যকে জবাবদিহি করতে বলে আদালত। বর্তমানে রাজ্যে স্কুলছুট পড়ুয়ার সংখ্যা কত, প্রত্যেক ছাত্রপিছু ক’জন করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা রয়েছেন, রাজ্যের কাছে তা জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু সঠিক পরিসংখ্যান জমা দিতে বেশি সময় চায় রাজ্য। তাতেই তাদের ভর্ৎসনা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল।

রবিবার আদালতে সওয়াল জবাব চলাকালীন, রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্র এবং পড়ুয়ার অনুপাত জানতে চান বিচারপতি বিন্দল। তাতে রাজ্য বেশি সময় চাইলে ক্ষুব্ধ স্বরে বিচারপতি বলেন, ‘‘রাজ্য কি তথ্য ছাড়াই স্কুল চালাচ্ছে? এই পরিসংখ্যানের জন্য একটা দিনই যথেষ্ট। রাজ্যের কাছে সেই তথ্য যদি না থাকে সেটা সত্যিই বিস্ময়কর।’’ আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সংক্রান্ত বিশদ রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে রাজ্যকে।

সম্প্রতি বাঁকুড়ার আসানোসল এলাকা থেকে হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারী জানান, ওই এলাকায় পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্কুল রয়েছে, যার মধ্যে দু’টি স্কুলে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক না থাকায়, আসাই বন্ধ করে দিয়েছে পড়ুয়ারা। তৃতীয় স্কুলটিতে আবার শিক্ষকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। তাই ওই স্কুল থেকে বাড়তি শিক্ষকদের বদলি করে শিক্ষক না থাকা স্কুল দু’টিতে সরিয়ে আনার আবেদন জানান ওই ব্যক্তি, যাতে স্কুলছুটের সংখ্যা কমে এবং পড়াশোনার সুযোগ পান গ্রামের ছেলেমেয়েরা।

সোমবার হাই কোর্টে সেই মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকারীর আইনজীবী শুভ্রপ্রকাশ লাহিড়ী বলেন, ‘‘নিজের এলাকার স্কুলে পড়াশোনা করার অধিকার রয়েছে পড়ুয়াদের। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা অসম হওয়ায়, দূরের স্কুলে যেতে হয় তাদের। এর ফলে স্কুলছুটের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে।’’

এ নিয়ে সওয়াল জবাব চলাকালীন, রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্র এবং পড়ুয়ার অনুপাত জানতে চান বিচারপতি বিন্দল। কিন্তু আদালতে সঠিক পরিসংখ্যান তুলে ধরতে বিচারপতির কাছে বেশি সময় চায় রাজ্য। তাতেই ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE