পশ্চিমবঙ্গের থানাগুলিতে সিসি ক্যামেরার হাল কী? রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। আট সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। তার মধ্যে সিসিটিভি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। আগামী ৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন থানায় যে সমস্ত সিসি ক্যামেরা বসানো রয়েছে, তার অধিকাংশই কাজ করে না বলে অভিযোগ। দীর্ঘ দিন এই সমস্ত ক্যামেরাগুলির সক্রিয়তা যাচাই করা হয়নি। ফলে তা থেকে কোনও তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না। এই মর্মে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী তথাগত দত্ত। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানতে চায় আদালত। কোন থানায় কত সিসিটিভি রয়েছে, সেগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, রাজ্যকে তা জানাতে হবে আট সপ্তাহের মধ্যে।
আরও পড়ুন:
আদালতের বক্তব্য, ‘‘মামলাকারী যে অভিযোগগুলি করছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনকে। এই নির্দেশ জারির আট সপ্তাহের মধ্যে আমরা রিপোর্টটি দেখতে চাই।’’
মামলাকারী আদালতে জানিয়েছেন, জেল এবং থানার ভিতরে সিসি ক্যামেরা থাকা অত্যন্ত জরুরি। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য এই ক্যামেরার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সেই প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে থানা এবং জেলে সিসিটিভি বসানো, তার রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের সেই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, জানতে চেয়েছেন মামলাকারী। রাজ্যের তরফে এই মামলায় আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত, অনির্বাণ রায়, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীতা সাউ এবং আকাশ দত্ত।