আরজি কর-কাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের মায়ের চোট লাগার ঘটনায় পুলিশি তদন্ত সন্তোষজনক নয়। প্রাথমিক ভাবে এমনটাই জানাল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার কোনও আধিকারিককে তদন্ত করতে হবে বলে বুধবার নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতির নির্দেশ, ওই ঘটনাটি নিয়ে অনুসন্ধান করতে হবে। তার পরেই পরবর্তী তদন্ত নিয়ে আদালত নির্দেশ দেবে।
গত ৯ অগস্ট নবান্ন অভিযানের সময় নির্যাতিতার মায়ের চোট লাগে। তাঁর কপালের ডান দিকের একটি অংশ ফুলে যায়। কী ভাবে ওই চোট লাগে, তা স্পষ্ট নয়। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, পুলিশের লাঠির আঘাতেই তাঁর কপাল ফুলেছে। প্রাথমিক ভাবে ওই চোট লাগার ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিলেন নিউ মার্কেট থানা এবং শেক্সপিয়র সরণি থানার আধিকারিকেরা। কিন্তু বুধবার বিচারপতি ঘোষের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ওই দুই থানার আধিকারিকেরা যা তদন্ত করেছেন, সেটি সন্তোষজনক নয়।
হাই কোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, নির্যাতিতার মা আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অথচ, তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট নেয়নি পুলিশ। এফআইআরে তার উল্লেখ নেই। মেডিক্যাল রিপোর্টে মাথার সামনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ সেগুলি গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার কোনও আধিকারিককে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।
আরও পড়ুন:
আদালতের নির্দেশের পরে বুধবার নির্যাতিতার মা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমি যখন হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আমরা বলেছিলাম পুলিশ মেরেছে। আমাকে হাত ধরে টেনে শাঁখা ভেঙে দিয়েছে। পুলিশের লাঠিতে আমার মাথা ফুলে গিয়েছে। সেটি ওরা তখন লিখেছিল। কিন্তু পরে যখন আমরা ডিসচার্জ রিপোর্ট নিতে যাই, তখন ওখানে লেখা ছিল— র্যালিতে হাটঁতে গিয়ে পড়ে গিয়ে এটা হয়েছে।” বিচারপতি ঘোষের নির্দেশের পরে তাঁর দাবি, পুনরায় তদন্ত হলে কে তাঁকে আঘাত করেছিলেন, সেই তথ্য বেরিয়ে আসবে।