Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Calcutta High Court

সিপিএমকে সভার অনুমতি আদালতের

বিচারপতির মান্থার এজলাস থেকে সোমবার হাওড়া ময়দানেও সভার অনুমতি পেয়েছে সিপিএম। সেই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, শান্তিপূর্ণ ভাবে সভা-সমাবেশ যে কোনও রাজনৈতিক দলের অধিকার।

Calcutta High Court

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩ ০৯:০৭
Share: Save:

প্রথমে সভার অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন। আচমকাই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই পরিস্থিতি বারাসতের কাছারি ময়দানের সভা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিপিএম। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, আজ, মঙ্গলবার বেলা ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সভা করতে পারবে সিপিএম। শুধু অনুমতি দেওয়া নয়, এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, অনুমতি দিয়েও তা প্রত্যাহার করে নেওয়া ‘অস্বচ্ছতা’র উদাহরণ। প্রসঙ্গত, বিচারপতির মান্থার এজলাস থেকে সোমবার হাওড়া ময়দানেও সভার অনুমতি পেয়েছে সিপিএম। সেই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, শান্তিপূর্ণ ভাবে সভা-সমাবেশ যে কোনও রাজনৈতিক দলের অধিকার। এই প্রেক্ষিতে সিপিএমের বক্তব্য, সভা করার জন্য পুলিশের কাছেই অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। পুলিশ-প্রশাসন সভা করতে দিতে চায়নি বলেই আদালতে যেতে হয়েছিল।

বারাসতের সভা নিয়ে এ দিন সিপিএমের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, রবিলাল মৈত্র, শামিম আহমেদ এবং রাজিতলাল মৈত্র কোর্টে জানান, ওই সভার অনুমতি অতিরিক্ত জেলাশাসক দিয়েছিলেন। কিন্তু ১ জুন তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ওই সভা নিয়ে প্রচার হয়ে গিয়েছে। এখন অনুমতি বাতিল করলে সমস্যা হবে। রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি জানান, সভাস্থল খেলার মাঠ। সেখানে গত কয়েক বছর সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এডিএম ভুল করে অনুমতি দিয়েছিলেন। যদিও সেই যুক্তি আদালত মানতে চায়নি।

রাজিতলাল জানান, আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, সভার পরে মাঠ সাফ করে দিতে হবে। এ ব্যাপারে উদ্যোক্তারা নিজেদের তিন প্রতিনিধিকে দায়িত্ব দেবেন এবং তাঁদের নাম এডিএম এবং এসপি-কে জানাবেন। সন্ধ্যার মধ্যেই তিন প্রতিনিধি দেবব্রত বসু, পুলক কর এবং আহমেদ আলি খানের নাম জানিয়ে প্রশাসনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা আজকের সমাবেশের অন্যতম বক্তা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, এই রাজ্যে শাসক দল যা খুশি করতে পারে। পুলিশ তাদের পিছনে পিছনে ঘুরবে। আর বিরোধীরা কোনও কর্মসূচি করতে পারবে না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘নিয়ম মেনে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম। পুলিশ অনুমতি দিয়েছিল। টাকা জমা করতে বলেছিল। আমরা টাকা জমা করেছিলাম। তার পরে অনুমতি বাতিল হয়। সুখের কথা, আদালত আমাদের অনুমতি দিয়েছে। যদি অনুমতি না-ও দিত, আমরা সমাবেশ করতাম। কারও ক্ষমতা ছিল না সমাবেশ আটকাবে!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta High Court CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE