E-Paper

তালিকায় ‘গরমিল’, নিয়োগের নির্দেশ

ফিরদৌস জানান, শুভঙ্কর ২০১৭ সালে এসএসসি পরিচালিত শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন। ২০১৯ সালের মে মাসে ফল প্রকাশিত হলে প্রথমে তিনি দেখেন যে, তাঁর নাম মেধা তালিকায় নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:২৩
Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মেধা তালিকার গরমিলের জেরে চাকরির সুযোগ হারিয়েছিলেন স্কুলে কর্মশিক্ষার এক চাকরিপ্রার্থী। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) কাছে আবেদন করেও সুরাহা হয়নি। শেষে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভঙ্কর নাথ নামে ওই চাকরিপ্রার্থী। সেই মামলায় বুধবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশ, নিয়ম মেনে শুভঙ্করকে চাকরির নিয়োগপত্র দিতে হবে। মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, যোগ্য প্রার্থী হয়েও শুভঙ্কর চাকরির সুযোগ থেকে যে বঞ্চিত হয়েছেন, তা কোর্টের পর্যবেক্ষণে কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

ফিরদৌস জানান, শুভঙ্কর ২০১৭ সালে এসএসসি পরিচালিত শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন। ২০১৯ সালের মে মাসে ফল প্রকাশিত হলে প্রথমে তিনি দেখেন যে, তাঁর নাম মেধা তালিকায় নেই। সেই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি দেখেন ‘ওবিসি-বি’ গোত্রের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে তাঁর নাম পাঁচ নম্বরে আছে। কিন্তু তত দিনে কাউন্সেলিংয়ের সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তার পরে তিনি বহু বার এসএসসি-র কাছে দরবার করলেও লাভ হয়নি। মামলার শুনানিতে এসএসসি স্বীকার করে যে, শুভঙ্করের নাম মেধা তালিকায় আছে। কিন্তু এত দিন পরে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। বিচারপতি সেই যুক্তি মানতে চাননি।

এসএসসি-র নিয়োগে নানা দুর্নীতি ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। শুভঙ্করের ক্ষেত্রে মেধা তালিকায় ‘বিভ্রাট’-এর পিছনেও তেমন কিছু ছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। বিতর্ক আছে কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষার অতিরিক্ত পদ (সুপার নিউমেরিক) নিয়েও। ফিরদৌস বলেন, অতিরিক্ত পদের বিষয়টি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তবে শুভঙ্করের চাকরি যে হেতু ‘জেনারেল পোস্ট’ থেকে হত, তাই নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Calcutta High Court WBSSC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy