প্রযুক্তি নির্ভর যুগে সঠিক বিচার প্রক্রিয়া ও তদন্তের স্বার্থে আইন ও আনুষঙ্গিক পাঠ্যক্রমকে ঢেলে সাজছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস (এনইউজেএস)। অপরাধতত্ত্ব, ফরেন্সিক বিজ্ঞান, সাইবার ক্রাইম প্রযুক্তি, ভিকটিমোলজি, ক্রিমিনাল প্রোফাইলিং, কারাগার পরিচালনা, পুনর্বাসন, ফরেন্সিক অ্যানথ্রোপলজি এবং অপরাধের পূর্বাভাসমূলক বিশ্লেষণের বিষয়গুলিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। পূর্ব ভারতে এই প্রথম ‘ক্রিমিনোলজি ও ক্রিমিনাল জাস্টিস’ বিষয়ে দু’বছরের এমএসসি এবং এমএ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি তারা চালু করেছে। রবিবার এনইউজেএস শিক্ষাঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্মলকান্তি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমাদের কোর্সের লক্ষ্য এক নতুন প্রজন্ম তৈরি করা, যাঁরা আইন, অপরাধবিদ্যা, ফরেন্সিক বিজ্ঞান ও ভিকটিমোলজির তাত্ত্বিক জ্ঞান ও ব্যবহারিক দক্ষতায় সমৃদ্ধ হবেন।” রবিবার এই অনুষ্ঠানে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ, বিচারপতি অনন্যা বন্দোপাধ্যায়, বিচারপতি সুগত মজুমদার, ডিজি (সাইবার ক্রাইম) সঞ্জয় সিংহ প্রমুখ ছিলেন।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে অনেক সময়ে আইনের সঠিক ধারা প্রয়োগ হচ্ছে না।’’ সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় ময়না তদন্তের রিপোর্টে যে আদালত অখুশি তাও উল্লেখ করেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ফরেন্সিক রিপোর্টের খামতিতে বিচার প্রক্রিয়াও প্রভাবিত হয়। নতুন পাঠ্যক্রমে সাইবার ক্রাইম ও ফরেন্সিকে গুরুত্বে বিচার প্রক্রিয়া, তদন্ত, সাক্ষ্যপ্রমাণ বিবেচনা উন্নততর হবে বলে বিচারপতি ঘোষের অভিমত।
বিচারপতি সুগত মজুমদার বলেন, অপরাধ বিচার পদ্ধতির আধুনিকীকরণে নতুন কোর্স গুরুত্বপূর্ণ। বিচারপতি অনন্যা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভিকটিমোলজি এখন সর্বত্র চর্চার বিষয়। নির্যাতিতদের এবং তাঁদের পরিবারকে সাধারণ জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন এই বিষয়ে শিক্ষিত পড়ুয়ারা। ‘ক্রিমিনোলজি এবং ক্রিমিনাল জাস্টিস’-এর স্নাতকোত্তর কোর্সে সমাজকল্যাণমূলক কাজে ধারালো হবেন শিক্ষার্থীরা।’’ ডিজি (সাইবার ক্রাইম) সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা লুট করছে সাইবার অপরাধীরা। এ মাসে রাজ্যে প্রায় ৪০০ সাইবার অপরাধের অভিযোগ এসেছে। অপরাধ রুখতে আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)