কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
ভাঙড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে ইচ্ছুক আইএসএফ প্রার্থীদের পুলিশি সাহায্য এবং নিরাপত্তা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার আইএসএফ-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা এবং তিন জন প্রার্থীর দায়ের করা মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ভাঙড়ের ক্ষেত্রে ভাঙড় এবং কাশীপুর থানা এই নির্দেশ পালন করবে। একই সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তাঁর নির্দেশ, আজ, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে রাজ্যের সর্বত্র কোনও প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা পেলে তাঁকে সব ধরনের পুলিশি সাহায্য করতে হবে। কমিশন কোর্টের এই নির্দেশ সব থানাকে পাঠাবে। কোর্টের এই নির্দেশ রাজ্য পুলিশের ডিজি মারফত সব পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারের কাছেও পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
ভাঙড়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আইএসএফ প্রার্থীদের উপরে মঙ্গলবার থেকেই হামলার অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীর আইনজীবী অরিন্দম জানা এবং ঝুমা সেন কোর্টে জানান, মঙ্গলবার ওই তিন জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার সময়ে তাঁদের আটকানো হয়। নানা বাধা পেরিয়ে শেষমেশ তিন জনের মধ্যে এক জন মনোনয়ন পেশ করতে পারেন।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, মামলাকারীরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন। তাই এ ব্যাপারে যা করার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারই করবেন। এর পরেই এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বাকি জায়গাতেও মনোনয়নে বাধা পেলে পুলিশি সাহায্যের নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচন আইনের ৪৬(২) ধারা অনুযায়ী কোনও প্রার্থী মনোনয়ন পেশে বাধা পেলে কমিশন পুলিশি সাহায্য দিতে পারে।
মঙ্গলবার থেকেই দফায়-দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। আইএসএফ-এর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিরোধীদের মনোনয়ন পেশে বাধা দিচ্ছে। রাস্তায় মারধর করা হচ্ছে। আব্দুল মালেক মোল্লাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। তাঁর মাথায় চোট লেগেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা আইএসএফ-এর উপরেই হামলার দায় চাপিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy