স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) সুপ্রিম কোর্টে যে নথি দিয়েছিল, তা এ বার দেখতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিলের মামলায় শীর্ষ আদালতে এসএসসি হলফনামা দিয়েছিল। তা-ই দেখতে চেয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাতে চাকরি চলে গিয়েছিল প্রায় ২৬ হাজার জনের। সেই রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে এসএসসি-কে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এসএসসি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তার ভিত্তিতে চিহ্নিত ‘দাগি’ (চাকরি বাতিলের মামলায় যাঁরা অযোগ্য বলে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত)-রা আবার আবেদন করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মামলা হয়েছে হাই কোর্টে। সেই মামলাতেই ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া এসএসসির হলফনামা চেয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি যে হলফনামা জমা দিয়েছিল, তাতে তারা জানিয়েছিল, কী ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে সেই সময়, কী ভাবে প্যানেল তৈরি হয়েছিল এবং গলদ কোথায় কোথায় ছিল। মনে করা হচ্ছে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোদমে শুরু হওয়ার তা-ই একবার দেখে নিতে চাইছে উচ্চ আদালত।
প্রসঙ্গত, এসএসসি-র নতুন নিয়োগের পরীক্ষায় চিহ্নিত ‘দাগি’ শিক্ষকদের অংশগ্রহণ সম্প্রতি নিষিদ্ধ করেছিলেন একক বেঞ্চের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। গত সোমবার তিনি নির্দেশ দেন যে, নতুন নিয়োগে চিহ্নিত ‘দাগি’ শিক্ষকদের সুযোগ দেওয়া যাবে না। ইতিমধ্যে কোনও ‘দাগি’ প্রার্থী আবেদন করলে তা-ও বাতিল করতে হবে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রাজ্য এবং কমিশন। বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিস্তারিত শুনানির পর একক বেঞ্চের রায়ই বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।