Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Justice Abhijit Gangopadhyay

ওএমআরে ৩, এসএসসির সার্ভারে নম্বর ৫০! পি সি সরকারের ম্যাজিক? প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

শুক্রবার ওএমআর শিট বিকৃতি নিয়ে কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। চার দিনের মধ্যে এ বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে উত্তর জানাতে বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৫১
Share: Save:

নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেই অনিয়মের তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করেছিল সিবিআই। এ বার সেই সূত্রেই স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর বক্তব্য জানতে চাইলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে দেখা গিয়েছিল, অনেক চাকরিপ্রার্থী উত্তরপত্রে (ওএমআর শিট) ১-২ করে নম্বর পেলেও কমিশনের সার্ভারে সেই নম্বরই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০-এরও বেশি। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, উত্তরপত্রে ৩ নম্বর আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে নম্বর বেড়ে হয়েছে ৫৩! পিসি সরকার জুনিয়র না সিনিয়িরের ছোঁয়ায় হঠাৎ এত নম্বর বেড়ে গেল, তা কমিশনের আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি।

শুক্রবার ওএমআর শিট বিকৃতি নিয়ে কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত। চার দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কমিশনকে উত্তর জানাতে বলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের তরফে আদালতে দাবি করা হয় যে, গাজিয়াবাদের সার্ভার থেকে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বেশ কিছু উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে। ওই উত্তরপত্রগুলি যাচাই করে দেখা গিয়েছে, সেখানে এমন অনেকে আছেন যাঁরা ওএমআর শিটে মাত্র একটি বা দু’টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু নম্বর পেয়েছেন ৫০-এর বেশি! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এ-ও দাবি করে, এসএসসি-র ওই হার্ড ডিস্ক তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেবে।

কিছু দিন আগেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সিবিআই তথ্য দেয়, উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিটে দেখা যাচ্ছে ১০ জন পরীক্ষার্থী শূন্য পেয়েছেন পরীক্ষায়। কিন্তু তাঁদের কমিশনের সার্ভারে নম্বর দেওয়া হয়েছে ৫৩। বাকিরা যাঁরা ১ বা ২ নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের কারও নম্বর ৫১, কারও ৫২। তালিকার ওয়েটিং লিস্টে থাকা এমন ২০ জন প্রার্থীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ৯ নম্বর বেড়ে ৪৯ হয়েছে। মামলাকারী সেতাবউদ্দিনের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে দাবি করেন, আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। কিছু চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ যে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়েছে, তা আদালতে স্বীকার করে নেয় কমিশনও।

নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কমিশনকে ৪০টি ওএমআর শিট প্রকাশ করতে বলেছিল হাই কোর্ট। সেখানে দেখা যায় প্রচুর চাকরিপ্রার্থীর নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বারো জন শিক্ষক তাঁদের ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের সমর্থনে আদালতে আবেদন করেন। তাঁদের মামলায় যুক্ত করে একত্রে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE