ওই কাজের জন্য টাগ বোট ছাড়াও ইয়োকোহামা ফেন্ডারের জোগান দিয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর। বিশেষ ধরনের ওই ভাসমান ফেন্ডার গভীর সমুদ্রে পণ্য খালাস করার সময় দু’টি জাহাজের মধ্যে ধাক্কা এড়াতে সাহায্য করে। বন্দরের চেয়ারম্যান এ দিন জানান, ওই কাজের সূত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি বন্দরের নিজস্ব আয়ের পরিসর বাড়বে।
এই ভাবেই পণ্য খালাস বাংলাদেশের জন্য। নিজস্ব চিত্র
এক উদ্যোগে দুই লক্ষ্যভেদের চেষ্টা করছে কলকাতা (শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি) বন্দর। আয় বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্পর্ক গভীরতর করা। এবং উভয় ক্ষেত্রেই সফল হওয়ার পথে ইতিমধ্যে বেশ কিছুটা এগোনো গিয়েছে বলে বন্দর শিবিরের একাংশের দাবি।
স্যান্ডহেডে বড় জাহাজ থেকে তরল পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য ছোট জাহাজে খালি করার ক্ষেত্রে গত বছর অক্টোবরে বড় সাফল্য পেয়েছিল বন্দর। বৈদেশিক মুদ্রা খরচের ধাক্কা এড়িয়ে নতুন করে আয়ের রাস্তার হদিস মিলেছিল তখনই। এ বার বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের জন্য একই কাজ করে আয়ের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্পর্ক মজবুত করছে বন্দর। ইন্দোনেশিয়ার মালেতে এ ভাবে তরল পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের জাহাজ খালি করার জন্য বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হত। এখন সেই অর্থ বেঁচে যাচ্ছে।
নাব্যতার সমস্যার জন্য কখনওই খুব বড় জাহাজ কলকাতা বা হলদিয়া বন্দরে আসতে পারে না। বড় জাহাজের ক্ষেত্রে যেখানে প্রায় ২৪ মিটার পর্যন্ত নাব্যতার প্রয়োজন হয়, সেখানে কলকাতা ও হলদিয়ায় তা মেলে বড়জোর আট থেকে সাড়ে আট মিটার পর্যন্ত। এত দিন স্যান্ডহেডে শিপ-টু-শিপ অপারেশনের মাধ্যমে ক্রেন ব্যবহার করে বড় জাহাজের পণ্য ছোট জাহাজে স্থানান্তরিত করা হত।
এলপিজি, তরল পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের ক্ষেত্রে তা ছোট জাহাজের ট্যাঙ্কারে ভরে কলকাতা বা হলদিয়ায় আনার জন্য ইন্দোনেশিয়ার মালে বন্দরে যেতে হত। গত কয়েক বছর ধরে টানা হলদিয়া ডকে এলপিজি আমদানি বাড়ছে। পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ওই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে গত অক্টোবরে গভীর সমুদ্রে হলদিয়া বন্দরে আসা এলপিজি ছোট জাহাজে খালি করার ক্ষেত্রে শিপ-টু-শিপ অপারেশনে সাফল্য পেয়েছিল কলকাতা বন্দর। এ বার সেই সাফল্যের সূত্রেই শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালি বন্দর থেকে জাহাজে আসা ১১৬৬৬.৩৩৫ মেট্রিক টন তরল প্রোপেন এবং ৩২৮৪৮.৮০৪ মেট্রিক টন বিউটেন ছোট আকারের বার্জে খালি করল কলকাতা বন্দর। গত ১৯ মার্চ এমটি মিউরা নামের ওই জাহাজ স্যান্ডহেডে এসে বেলা দেড়টা নাগাদ নোঙর করে। তার পরে শুল্ক দফতরের কাজ মেটার পরে বিকেল ৫টা নাগাদ গভীর সমুদ্রের মধ্যেই ছোট বার্জে তরল পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য খালি করা শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে চারটি বার্জ পণ্য নিয়ে রওনা হয় বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের উদ্দেশে। দেশের মধ্যে সীমিত সামর্থ্য নিয়েই কলকাতা বন্দর প্রথম এই কাজ করছে বলে জানান সংস্থার চেয়ারম্যান
বিনীত কুমার।
ওই কাজের জন্য টাগ বোট ছাড়াও ইয়োকোহামা ফেন্ডারের জোগান দিয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর। বিশেষ ধরনের ওই ভাসমান ফেন্ডার গভীর সমুদ্রে পণ্য খালাস করার সময় দু’টি জাহাজের মধ্যে ধাক্কা এড়াতে সাহায্য করে। বন্দরের চেয়ারম্যান এ দিন জানান, ওই কাজের সূত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি বন্দরের নিজস্ব আয়ের পরিসর বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy