E-Paper

শিক্ষামন্ত্রীর পাল্টা তোপ এ বার উপাচার্যের

বিবৃতিতে শান্তার দাবি, আচার্য দ্বারা অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত অথবা সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করে দেওয়া সার্চ কমিটির মাধ্যমে স্থায়ী উপাচার্য না নিয়োগ হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী উপাচার্যেরা পদে বহাল থাকতে পারেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ০৫:৫০
ব্রাত্য বসু।

ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদে এ বার বিবৃতি দিয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। বিবৃতিতে শান্তার দাবি, আচার্য দ্বারা অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত অথবা সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করে দেওয়া সার্চ কমিটির মাধ্যমে স্থায়ী উপাচার্য না নিয়োগ হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী উপাচার্যেরা পদে বহাল থাকতে পারেন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সিন্ডিকেট বৈঠক চলাকালীন টিএমসিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। রাত ১২টা নাগাদ অন্তর্বর্তী উপাচার্য পুলিশ ডেকে ক্যাম্পাস ছাড়তে পারেন। বেরোনোর সময়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ সিন্ডিকেট সদস্যরা টিএমসিপির বিক্ষোভের মুখে পড়ে।

সেই ঘটনার পরে শনিবার কার্যত নিজের দলের ছাত্র সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়ে ব্রাত্য বলেন যে, শীর্ষ কোর্টের নির্দেশ মানলে অন্তর্বর্তী উপাচার্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকাই উচিত নয়। কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে সরকারি সুযোগ নেওয়ার জন্য কোর্ট ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

শনিবারই উপাচার্যের নীল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু অনুপ্রবেশকারী উপাচার্যের নাম করে ঢুকছেন।

রবিবার বিবৃতিতে শান্তা জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠনের ক্ষমতা রাজ্যের হাতে আর নেই। তা দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের হাতে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থিতাবস্থা প্রত্যাহারের নির্দেশও নেই। শান্তার আরও দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আচার্যই চূড়ান্ত নিয়োগকর্তা। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী বা অনুমোদিত উপাচার্য নিযোগের ক্ষেত্রে আচার্যের এই ক্ষমতা এখনও স্থগিত করা হয়নি। বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের অবসরের বয়স ৭০ বছরের বিষয়টিও ফের উল্লেখ করা হয়।

টিএমসিপি-র বিক্ষোভকারী সদস্যদের ‘ছাত্র হওয়ার বয়স পেরিয়ে গিয়েছে’ বলেও জানান শান্তা। এ দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনার নিন্দা করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তাদের বক্তব্য, ‘সঙ্কীর্ণ রাজনীতির’ জন্য পঠনপাঠন থেমে থাকতে পারে না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bratya Basu Calcutta University vice chancellor

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy