নানা টানাপড়েনে পরীক্ষা পিছিয়েছে ৪-৫ মাস। তবু এ বারই সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ভাবে স্নাতক স্তরে আইনের প্রবেশিকা পরীক্ষা আয়োজনে এগোল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আজ, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ এলএলবি পরীক্ষার পাঁচ বছরের শিক্ষাক্রমের প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে। অভূতপূর্ব ভাবে এ বছর হাজরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগকে দূরে রেখে প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঠিক করা হয়। গোপনীয়তা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থে বিষয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে নিজে তদারকি করেন বলে সূত্রের খবর।
আইনে ভর্তি প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করার স্বার্থে এ বারই কম্পিউটার পরিচালিত ব্যবস্থায় বিএ এলএলবি-র প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়। আগেকাগজেকলমে এই পরীক্ষা হত। কল্যাণী, মধ্যমগ্রাম, বারুইপুর, তারাতলা ও সল্টলেকের ৫টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা স্বচ্ছতার স্বার্থে এ বার একটি নিরপেক্ষ সংস্থার (টিসিএস) তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয়।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের কয়েকটি কলেজে ধারাবাহিক ভাবে সিট বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল কয়েক বছরে। গত জুনে কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি দুর্নীতির নানা দিকও সামনে আসে। দেখা যায়, অভিযুক্ত এক ছাত্রই অনেক নীচে র্যাঙ্ক পেলেও ওই সরকারি কলেজে সুযোগ পেয়েছে। এ সব অভিযোগের জেরেই এ বার পদে পদে বাড়তি সতর্কতার ব্যবস্থা। কসবার কলেজে কয়েক বছরের ভর্তি নিয়ে তদন্তও চালাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়।
এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে হাজরায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ আরও তিনটি কলেজ ও ১০টি বেসরকারিকলেজে সুযোগ মিলবে। প্রধানত ওবিসি-জটের জেরে এ বার অস্বাভাবিকদেরি হয়েছে ভর্তিতে। সেই সঙ্গে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার নথিভুক্তিকরণ না-থাকাতেও জটিলতা দেখা দেয়।তবে এত দেরির ফলে অন্য বারের তুলনায় কিছু কম ৪১৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। আসন ২১৭০টি।ভর্তিতে দেরি হলেও সামান্য খরচে পড়ার সুযোগ পেতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন বলে কর্তৃপক্ষের আশা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)