Advertisement
১৪ জুন ২০২৪

সিকিমে গাড়ি খাদে, মৃত রাজ্যের ৬

গরমের ছুটিতে সিকিম বেড়াতে গিয়ে পাহাড়ের খাদে পড়ে মারা গেলেন দু’টি পরিবারের ৬ জন। সিকিম পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ সিকিমের লাচুং থেকে গ্যাংটক ফেরার পথে উত্তর সিকিমের ফেংগলা এলাকায় রাস্তার একটি বাঁকের মুখে ৩৫০ ফুট নীচে খাদে পড়ে যায় তাঁদের গাড়িটি।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত: খাদে পড়ে রয়েছে গাড়িটি। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

দুর্ঘটনাগ্রস্ত: খাদে পড়ে রয়েছে গাড়িটি। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৭ ০৪:৪৭
Share: Save:

গরমের ছুটিতে সিকিম বেড়াতে গিয়ে পাহাড়ের খাদে পড়ে মারা গেলেন দু’টি পরিবারের ৬ জন। সিকিম পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ সিকিমের লাচুং থেকে গ্যাংটক ফেরার পথে উত্তর সিকিমের ফেংগলা এলাকায় রাস্তার একটি বাঁকের মুখে ৩৫০ ফুট নীচে খাদে পড়ে যায় তাঁদের গাড়িটি। সেখানেই মারা যান পাঁচ জন। পরে হাসপাতালে আর এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দু’টি পরিবারের মধ্যে দণ্ডপাট পরিবারের কর্তা সুভাষচন্দ্র দণ্ডপাট গাড়িটি খাদে পড়ার সময় একটি গাছের ডাল ধরে ফেলে ছিলেন। তাতেই প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু তাঁর স্ত্রী জসমিন দণ্ডপাট (৩৩) ও কন্যা শ্রীপর্ণার (৬) মৃত্যু হয়েছে। আর এক পরিবারের স্বামী মাইকেল বাগ (৪৪), স্ত্রী সুজাতা বাগ (৪০), ছেলে শুভম বাগ (১৪) ও এক কন্যা শেফালি বাগ (১৫) মারা গিয়েছেন। বেঁচে রয়েছে কেবল সুজাতাদেবীর বছর চারেকের ছেলে সিদ্ধার্থ। সুভাষবাবুর পরিবারের আদি বাড়ি ওড়িশাতে। মাইকেল ও সুভাষবাবু দু’জনেই ইছাপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘গান অ্যান্ড শেল’ সংস্থার কর্মী। ইছাপুরেই থাকেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: স্কুল ফি’তে কমিটির নজরদারি

সকালে খবর পেয়ে শোকে ভেঙে পড়ে গোটা পাড়া। তালা বন্ধ দু’টি বাড়ির সামনে জটলা শুরু হয়ে যায়। পরে তাঁদের তিন সহকর্মী সিকিম রওনা হন। পড়শিরা জানান, অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা করেই দুই পরিবার ২৭ মে রওনা হয়। ওই দিন সকালে রওনা হয়ে দিনভর সেখানে ঘোরাঘুরি করেন তাঁরা। সন্ধ্যার পর সেখান থেকে রওনা হয়ে তাঁরা গ্যাংটক ফিরছিলেন। গ্যাংটক থেকে প্রায় ১৫-১৬ কিলোমিটার দূরে পানথাং। ছোট ছোট পাহাড় ঘেরা ওই অঞ্চলের রাস্তাটির অনেক জায়গাতেই অনেকটা করে খাড়াই রয়েছে। রাতে দুর্ঘটনায় পড়েন। রাতেই উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। চালক-সহ তিন জনের সিকিম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। পূর্ব সিকিমের পুলিশ সুপার ডিবি গিরি বলেন, ‘‘একে পাহাড়ের অন্ধকার, তার পরে আবহাওয়া ভাল না থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।’’

ইছাপুরে পড়শিরা এখন ভাবছেন, কী করে বড় করে তুলবেন ছোট্ট সিদ্ধার্থকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Car Accident Sikkim সিকিম
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE