Advertisement
E-Paper

ন্যায্য মূল্যের ওষুধের টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে মামলা

মামলাটি বর্তমানে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। মামলাকারী ব্যবসায়ীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তের বক্তব্য, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়ম হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৩০
Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সরকারি হাসপাতালগুলিতে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে বেশি হারে ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য। সেই হারে ছাড় দেওয়ার জন্য নতুন নতুন সংস্থাকে দোকানের বরাতও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, সেই বরাত দেওয়ার প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়ম করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তাই বরাত প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক দল ওষুধ ব্যবসায়ী। মামলাটি বর্তমানে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। মামলাকারী ব্যবসায়ীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তের বক্তব্য, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়ম হয়েছে। নথিপত্রের ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় স্বাস্থ্য দফতর নিজস্ব নীতি মানেনি।

মামলাকারী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, টেন্ডার আহ্বানে খুচরো ওষুধ বিক্রেতাদের দরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নথিতে পাইকারি ওষুধ বিক্রেতা সংস্থাকে দোকানের বরাত দেওয়া হয়েছে। শর্ত ছিল, বরাত পেতে হলে আবেদনকারী সংস্থায় ‘কম্পিটেন্ট পার্সন’ কমপক্ষে ৫ জন থাকতে হবে। কিন্তু সংস্থায় মাত্র এক জন ‘কম্পিটেন্ট পার্সন’ আছে, এমন সংস্থাও বরাত পেয়েছে বলে অভিযোগ। বলা হয়েছিল, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই, সেই শংসাপত্র দিতে হবে। ২০২৩ সালে দরপত্রে তিন বছর পুরনো শংসাপত্র দিয়েছে যে সংস্থা তারাও বরাত পেয়েছে বলে মামলাকারীদের দাবি।

মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, কারও কারও ড্রাগ লাইসেন্সের নথিতে বিভ্রাট আছে, কারও কারও ওষুধ কেনার বিল যথাযথ নয়। এত কিছুর পরেও কী ভাবে ওই সংস্থাগুলিকে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের বরাত দেওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। অনলাইন প্রক্রিয়াতেও কী ভাবে এই ‘নথি বিভ্রাট’ ধরা পড়ল না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট নথিপত্র আদালতেও জমা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মামলাকারী ওষুধ ব্যবসায়ীরা।

আদালতের খবর, এই মামলাটি এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে শুনানি হয়েছিল। মামলাকারীরা যেহেতু টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন তাই এ ক্ষেত্রে তাঁদের আপত্তি সঙ্গত নয়, এই পর্যবেক্ষণ দিয়ে মামলাটি খারিজ করেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে আরও নথিপত্র দিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন মামলাকারী ব্যবসায়ীরা।

medicine tender Corruption
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy