স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) পরীক্ষায় অভিজ্ঞতার নিরিখে ১০ নম্বর দেওয়া নিয়ে ফের মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। শুক্রবার শিশির দাস নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলায় তাঁর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং শিঞ্জিনী চক্রবর্তী প্রশ্ন তোলেন যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যদি ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াই অবৈধ হিসেবে ঘোষিত হয় তাহলে সেই অবৈধ নিয়োগের ভিত্তিতে কী ভাবে অভিজ্ঞতার নম্বর দেওয়া যায়? তাঁদের যুক্তি, সুপ্রিম কোর্ট ‘অযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত না-হওয়া শিক্ষকদের চাকরির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বলেছিল যে এই চাকরির অধিকার বাদে অন্য কোনও সুবিধা তাঁরা পাবেন না। তা হলে অভিজ্ঞতার নম্বর দেওয়া হচ্ছে কেন? শিশির ছাড়াও আরও একট চাকরিপ্রার্থী একই বিষয়ে মামলা করেছে। তাঁর আইনজীবী শামিম আহমেদও কোর্টে হাজির ছিলেন।
সওয়াল শোনার পরে বিচারপতি অমৃতা সিংহ জানিয়েছেন, ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারও এই ১০ নম্বর দেওয়ার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সেটিরও শুনানি ১২ নভেম্বর।
এ দিকে, এ দিনই এসএসসি-র উচ্চ মাধ্যমিক গোত্রের শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ হয়েছে।সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা।
এ দিন এসএসসি অবশ্য জানিয়েছে যে, এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে মামলা রয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে পরবর্তী শুনানিতে হাই কোর্টের মামলার নথি এবং সুপ্রিম কোর্টের মামলারনথি পেশ করে এসএসসি-কেদেখাতে হবে যে একই মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন।
এ দিন মামলাকারীদের আইনজীবীরা আরও দাবি করেন যে ইন্টারভিউয়ের আগে অভিজ্ঞতার নম্বর দেওয়া হলে গোড়াতেই নতুন চাকরিপ্রার্থীরা (ফ্রেশার) পিছিয়ে পড়বেন। এসএসসি অবশ্য আদালতে মৌখিক দাবি করেছে যে, এ দিন লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেফল প্রকাশ হবে। অভিজ্ঞতার নম্বর দেওয়া হবে না। এ দিন বিচারপতি এ-ও বলেছেন যে ফল প্রকাশ হলেও তার ভবিষ্যৎ এই মামলার রায়ের উপরে নির্ভরশীল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)