ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হল। শুক্রবার এই মামলা দায়ের করতে চেয়ে হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে আদালত। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে এসআইআর-এর প্রয়োজন কী? প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী। কেন ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন করা হচ্ছে? মামলাকারী চান, ২০০২ সালের ভোটার তালিকা সম্পূর্ণ ভাবে প্রকাশ করুক নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে এসআইআর প্রক্রিয়ার উপর আদালতের নজরদারি থাক। এই আবেদন শুক্রবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ৪ নভেম্বর থেকে বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করার কাজ শুরু করবেন। বিহারে ইতিমধ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। নভেম্বরেই সে রাজ্যে ভোট। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এসআইআর-এর পর বিহারের তালিকা থেকে ৩০ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। অভিযোগ, এসআইআর-এর নামে মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারও গণতান্ত্রিক অধিকার যাতে কেড়ে নেওয়া না-হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে, দাবি তৃণমূলের। অন্য দিকে, বিজেপির পাল্টা দাবি, এসআইআর-এর মাধ্যমে ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটার এবং অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ দেওয়া হবে। একাধিক জায়গার ভোটার হিসাবে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের নামও বাদ দেওয়া হবে। কোনও প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ যাবে না বলে বিজেপির তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অযথা আতঙ্ক ছড়়ানোর অভিযোগ তুলেছে তারা।