বাংলাদেশের আদালতে পিছিয়ে গেল বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা পরিযায়ী শ্রমিক সোনালি বিবি-সহ ছ’জনের মামলা। পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ নভেম্বর। ততদিন সংশোধনাগারেই থাকতে হবে তাঁদের। আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ছ’জনের ভারতে ফেরা। ঘটনাচক্রে, কলকাতা হাই কোর্ট সোনালিদের ফেরাতে যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রকে, তার সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ, শুক্রবারই।
অনুপ্রবেশকারী হিসেবে সোনালি বিবি-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার চার্জ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর কথা ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ আশরাফুল ইসলামের এজলাসে। কিন্তু, এ দিন চার্জ গঠন হয়নি। বীরভূম থেকে সোনালিদের সাহায্যের জন্য বাংলাদেশে যাওয়া মফিজুল শেখ বলেন, ‘‘এ দিন কিছু হয়নি। শুধু পরবর্তী শুনানির দিন ধার্যহয়েছে। তবে, ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে কোনও চিঠি করা হয়েছিল কি না, তা জানতে চেয়েছিল আদালত। আমাদের আইনজীবী জানান, সরকারি ভাবে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।’’
সোনালিদের দেশে ফেরা দীর্ঘায়িত হলেও এ দিন চার্জ গঠন করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় কার্যত ভালই হয়েছে বলে মত অনেকের। কারণ, এই পরিস্থিতিতে দোষী সাব্যস্ত করে সোনালিদের যদি জেল বা জরিমানার নির্দেশ দিত আদালত, তা হলে জটিলতা বাড়ত। কারণ, জামিন পেলেও ভিন্ দেশে কোথায় থাকবেন সোনালিরা— সে প্রশ্ন থাকছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সোনালিদের দেশে ফেরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করলে বিষয়টি সহজ হয় বলে সংশ্লিষ্ট অনেকে জানাচ্ছেন।
বাংলাদেশ আদালত ইতিমধ্যেই সোনালিদের ভারতীয় বলে চিহ্নিত করে তাঁদের দেশে ফেরানোর জন্য ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টও তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে। তবে, এক বার মৌখিক ভাবে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সংশোধনাগারে বন্দি সোনালিদের খোঁজ নেওয়া ছাড়া ভারতীয় হাই কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকার চোখে পড়ার মতো কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘শুক্রবার হাই কোর্টের দেওয়া চার সপ্তাহের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। আইনি পথেই ওঁদের সকলকে ফেরাব।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)