Advertisement
E-Paper

কেন রাজ্যের তরফে ভাতা দেওয়া হচ্ছে শিক্ষাকর্মীদের? চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা হাই কোর্টে! প্রশ্ন, বাকিরা কেন বঞ্চিত?

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত চাকরিহারা শিক্ষকদের বেতন দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন পাবেন তাঁরা। কিন্তু চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় তাঁদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫ ১৬:৫৪

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

চাকরিহারা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মীদের রাজ্যের তরফে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, শিশির বিশ্বাস-সহ কয়েক জন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী মামলা করেছেন। তাঁদের দাবি, যদি ভাতা দিতেই হয়, তা হলে ওই বছরের সব আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীকে ভাতা দেওয়া হোক। অন্যথায় রাজ্যের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক। আগামী ৯ জুনের পর ওই মামলায় শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত চাকরিহারা শিক্ষকদের বেতন দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন পাবেন তাঁরা। কিন্তু চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় তাঁদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীরা যথাক্রমে মাসিক ২৫ হাজার ও ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। সেইমতো গত মাসে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে রাজ্য। ওই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, কেন শুধু চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দেওয়া হবে? এঁদের মধ্যে অযোগ্য বা ‘টেন্টেড’রাও রয়েছেন। অথচ যাঁরা অপেক্ষমাণ তালিকায় (ওয়েটিং লিস্ট-এ) ছিলেন, বা দুর্নীতির কারণে যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁরা ভাতা পাবেন না কেন?

এ বিষয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘ভাতা দিতে হলে সবাইকে দেওয়া দরকার। তাতে নির্দিষ্ট করে কারও অধিকার থাকতে পারে না। এঁদের মধ্যে অনেকে দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন। এঁরা যে অযোগ্য নন, তা কী করে বলা যায়? পুরো প্যানেলটাই আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়েছে। তাদেরকেই আবার ভাতা দেওয়া হয় কী করে? অথচ যাঁরা বঞ্চিত, দুর্নীতি না-হলে যাঁরা চাকরি পেতে পারতেন, তাঁদের ভাতা দেওয়া হবে না কেন?’’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলের গোড়ায় এসএসসি-র প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যকে। তার পর থেকেই আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। তার প্রেক্ষিতে কয়েক সপ্তাহ আগে চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আপাতত গ্রুপ সি কর্মীদের প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের যুক্তি, সরকার চাকরিহারাদের প্রতি সংবেদনশীল। চাকরি চলে যাওয়ায় তাঁদের পরিবারের উপর প্রভাব পড়ছে। তাই গোটা মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভাতা হিসাবে এই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Bengal SSC Recruitment Verdict Group C Group D Livelihood Calcutta High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy