রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণ মেটানো নিয়ে এক মামলার জেরে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ সম্প্রতি ওই নির্দেশ দিয়েছেন।
স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া-র বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী অখিলবন্ধু সাহা। তাঁর আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস জানান, আদালতে অভিযোগ করা হয়, ঋণ মেটাতে চাইলেও ওই ব্যবসায়ীর গচ্ছিত রাখা সম্পত্তি ব্যাঙ্ক বিক্রি করে দিয়েছে। সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণের টাকা আদায়ের পরে যে অতিরিক্ত টাকা মিলেছে, তা-ও ব্যবসায়ীকে ফেরত দেওয়া হয়নি।
স্টেট ব্যাঙ্কের আইনজীবী সুদীপ পাল চৌধুরীর পাল্টা অভিযোগ, ঋণ মেটানোর জন্য যে ব্যাঙ্ক ড্রাফট কেনার কথা, তা ওই ব্যবসায়ী কেনেননি। যিনি তা কিনেছিলেন, তিনি ড্রাফট কিনে পরে বাতিল করে দেন। ব্যাঙ্কের অভিযোগ, ব্যাঙ্কে সম্পত্তি গচ্ছিত রেখে, জাল দলিল তৈরি করে তার একাংশ এক আইনজীবীকে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ দিয়ে বিক্রি করেছেন ওই ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কের চিঠি জাল করার অভিযোগও তুলেছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
কোন পক্ষ ঠিক বলছে, তা যাচাই করার জন্য ফেব্রুয়ারিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু গত ১৬ মে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আদালতে জানিয়েছেন, এই ধরনের তদন্ত বা নথি যাচাই করার দক্ষতা তাঁদের নেই। তা শুনে ব্যবসায়ী সিবিআই তদন্ত চেয়ে আর্জি জানান। বিচারপতি সেই নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেন— ব্যবসায়ীর অভিযোগ সত্য না-হলে সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধেও আইন মাফিক ব্যবস্থা নেবে।
অখিলবন্ধুর আইনজীবী বুধবার জানান, স্টেট ব্যাঙ্কের কয়েক জন অফিসারের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশটি জানানো হয়। অভিযোগ, সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়া হলেও, ব্যাঙ্ক কখনও জানায় ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে, কখনও বা বলে অন্য কোনও অঙ্ক। আদালতের নির্দেশ পেয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পদমর্যাদার এক অফিসার জানান, সই বা নথি জালিয়াতি যাচাই করার দক্ষতা ও পরিকাঠামো তাঁদের নেই।
বুধবার সন্ধ্যায় স্টেট ব্যাঙ্কের উত্তরবঙ্গ ও সিকিম অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সতীশ রাওয়ের দফতরে যোগাযোগ করা হলে এক অফিসার জানান, ডিজিএম ব্যস্ত রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy