সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আবার তলব করল সিবিআই। তাঁকে সমন পাঠিয়ে সোমবার তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
তদন্তকারীদের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুজয়ের ‘ঘনিষ্টতা’র প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে তাঁদের কাছে। সোমবার সুজয়কে তাঁর ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি আনতে বলা হয়েছে। সুজয়ের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখতে চান বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুজয়কে নোটিস পাঠানো হয়। সেই সময় তাঁকে সমন করা হলেও তাঁর স্ত্রীর হাতে আঘাত থাকায় সমনে স্বাক্ষর করতে পারেননি, তখন একটি চিরকুটে লিখে সিবিআই দফতরে আসতে বলা হয়েছিল। পরের দিন অর্থাৎ বুধবার সকাল ১১টার একটু আগে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে পৌঁছন তিনি। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর ২টোর কিছু আগে সুজয় নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু শুক্রবার তাঁকে সমন পাঠিয়ে তলব করেছে সিবিআই।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল প্রথম সুজয়ের নাম প্রকাশ্যে আনেন। পরে তাঁর নাম উঠে এসেছিল গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও। তাপস জানিয়েছিলেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে ধৃত হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের কাছে তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা শুনেছিলেন। তাঁর দাবি, কুন্তল ‘কালীঘাটের কাকু’র কাছে টাকা পাঠানোর কথা বলেছিলেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুজয়। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তেও বার বার সুজয়ের নাম উঠে এসেছে। তার পরেই সুজয়কে তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে সুজয় জানিয়েছিলেন তিনি তাপস মণ্ডল এবং গোপাল দলপতিকে চেনেন না। তিনি বলেছিলেন, ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং সিবিআই গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক। এর আগে কয়লাকাণ্ডে সিবিআই তাঁকে সাক্ষী হিসেবে ডেকেছিল বলে জানিয়েছেন সুজয়। তিনি জানান, ইডি-ও তাঁকে ডেকেছিল। কিন্তু সেই সময় তাঁর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনি যেতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy