Advertisement
E-Paper

উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে মিলেছে কার্তুজের বিল, কলকাতার দোকান থেকে কিনেছিলেন শাহজাহানই?

শুক্রবার সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই এবং এনএসজি। সেখান থেকে মেলে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র। তার মধ্যে কিছু রসিদ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৫৯
CBI says they have found bill of arms in the name of Sheikh Shajahan bought from Kolkata shop

সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্র। — নিজস্ব চিত্র।

কলকাতার দোকান থেকে কার্তুজ কিনেছিলেন সন্দেশখালির শাহজাহান শেখ? শুক্রবারের তল্লাশি অভিযানে তেমনই প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় সংস্থার সূত্র বলছে, শুক্রবার সন্দেশখালিতে তল্লাশি চালিয়ে অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্রের সঙ্গে মিলেছে একাধিক রসিদ। তাতে কার্তুজ কেনার রসিদও রয়েছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, সেই রসিদে রয়েছে খোদ শাহজাহানের নাম। কলকাতার দোকান থেকে ওই কার্তুজ কেনা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। শাহজাহান নিজেই কলকাতায় এসে দোকান থেকে কার্তুজ কিনেছিলেন, না কি তাঁর নামে অন্য কেউ সেই কার্তুজ কলকাতা থেকে কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শুক্রবার সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এনএসজি। ‘ক্যালিবার’ যন্ত্র দিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ চলে চিরুনিতল্লাশি। বেশ কিছু বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়। উদ্ধার করা হয় অস্ত্রশস্ত্র। তার মধ্যেই ছিল বেশ কিছু কার্তুজের রসিদ। সিবিআই সূত্রের দাবি, মধ্য কলকাতার একটি দোকান থেকে এই কার্তুজগুলি কেনা হয়েছিল। ক্রেতা হিসাবে নাম রয়েছে শাহজাহানের।

সিবিআই জানতে পেরেছে, শাহজাহানের কাছে অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তা খুঁজে পাননি তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সেই সঙ্গে, শুক্রবার যে বিদেশি অস্ত্র সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়েও ধন্দ তৈরি হয়েছে। আমেরিকার সংস্থার বন্দুকও রয়েছে সেই তালিকায়। কিন্তু বিদেশি অস্ত্র ভারতে খোলা বাজারে বিক্রি হতে পারে না। তা হলে ওই বিদেশি অস্ত্রগুলি কোথা থেকে এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শাহজাহানের এক ঘনিষ্ঠের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে শুক্রবার তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকেই অস্ত্রগুলি পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু বাড়িতে আবু তালেব ছিলেন না। এখনও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। অস্ত্র পেয়ে এনএসজিকে খবর দেয় সিবিআই। তারা যন্ত্র নিয়ে সন্দেশখালিতে পৌঁছে যায়। দিনভর চলে তল্লাশি। দ্বিতীয় দফার ভোটের মাঝে যা বাংলার রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন তৈরি করেছে।

শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ আদালতের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল। সেখান থেকে তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি। বর্তমানে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

Shahjahan Sheikh sandeshkhali CBI Arms
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy