—নিজস্ব চিত্র।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতিতে কয়েক জন মামলাকারীকে ডেকেছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে তাঁরা নিজাম প্যালেসে যেতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার নিয়োগ দুর্নীতির মামলাটিও। সিবিআই সূত্রে খবর, নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগে মামলাকারী ববিতা সরকার ও অনিন্দিতা বেরা এবং গ্ৰুপ-ডি নিয়োগে মামলাকারী সাবিনা ইয়াসমিন ডাকা হয়েছে। সোমবার অনিন্দিতা ও সাবিনা নিজাম প্যালেসে যাবেন। বুধবার সেখানে যেতে পারেন ববিতা।
এর আগে এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মন্ত্রী পরেশকে একাধিক বার জেরা করেছে সিবিআই। এ বার তারা মামলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে। সিবিআই সূত্রে খবর, মামলাকারীদের নথি ও তথ্য নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে তা ববিতার কাছ থেকে সবিস্তারে জানতে চাইবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ববিতার মামলার ক্ষেত্রে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের বয়ানই প্রধান হাতিয়ার হিসাবে ধরছে তারা। অর্থাৎ, আদালতে সিদ্ধার্থ যে বয়ান দিয়েছিলেন। সিদ্ধার্থ জানিয়েছিলেন, ববিতার মোট নম্বর ৭৭ (বিষয়ভিত্তিক ৩৬, অ্যাকাডেমিক ৩৩ এবং পার্সোনাল টেস্ট ৮)। আর মন্ত্রিকন্যার নম্বর ৬১ (বিষয়ভিত্তিক ৩০, অ্যাকাডেমিক ৩১)। অঙ্কিতার পার্সোলান টেস্ট করা হয়নি। এ ছাড়া কম নম্বর থাকা স্বত্ত্বেও মেধাতালিকায় তাঁকে এক নম্বরে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
মামলকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, গ্ৰুপ-ডি ও গ্ৰুপ-সি নিয়োগ মামলায় বাগ কমিটির (প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের কমিটি) রিপোর্ট অনেকটা সাহায্য করেছে সিবিআইকে। এখন তাদের শুধু বিস্তারে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। কিন্তু নবম-দশমের ক্ষেত্রে কোনও রিপোর্ট তাদের কাছে নেই। ববিতার আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, মন্ত্রিকন্যার চাকরি নিয়ে এসএসসি আদালতে যা জানিয়েছে তা যথেষ্ট। এর উপর ভিত্তি করে বাকিটা খুঁজে বের করতে সিবিআইকে। বুধবার ববিতা সিবিআই দফতরে যাবেন। আমরা তদন্তে সব রকম সাহায্য করব। সিবিআই সূত্রে খবর, শুধু মামলকারীরা নন, বেআইনি ভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদেরও অনেককে ডেকে পাঠানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy