গরুপাচার নিয়ে নিজের বাহিনীরই এক শ্রেণির আধিকারিকের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছিলেন শীর্ষ এক বিএসএফ-কর্তা। ২০১৬ সালে ওই আধিকারিক বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারে কর্মরত ছিলেন। নিজের বাহিনীর শীর্ষকর্তা থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেও নালিশ জানিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, ওই নালিশের ভিত্তিতে কেউ কোনও পদক্ষেপ করেনি। উল্টে অভিযোগকারী ওই আধিকারিকেরই বদলি হয়ে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরুপাচার এবং পাচারকারী চক্রের সঙ্গে বিএসফের যোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে এ রকমই এক তথ্য।
২০১৮ সালের প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানের সময়ে জানা যায় ওই আধিকারিকের পাঠানো চিঠির কথা। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই চিঠিতে সবিস্তার বিবরণ দেওয়া ছিল, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন সেক্টরে, বিশেষ করে মালদহে (মালদহ সেক্টরের মধ্যেই রয়েছে মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একটা বড় অংশ যা গরুপাচারের করিডর হিসাবে কুখ্যাত ছিল) কী ভাবে দিনে-রাতে হাজার হাজার গরু পাচার করা হচ্ছে। সিবিআই সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ দিয়ে জানানো হয়েছিল কী ভাবে বিএসএফের-কর্তাদের একটা বড় অংশ সরাসরি মদত দিচ্ছেন ওই পাচার সিন্ডিকেটকে।
সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের দাবি, শীর্ষ বিএসএফ-কর্তারা ওই চিঠিকে কোনও গুরুত্ব দেননি। এমনকি ভিজিল্যান্স শাখা (যে শাখা বাহিনীর কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত করে) কোনও ধরনের তদন্তও করেনি ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি পাঠানো ওই অভিযোগের। বিএসএফের তখনকার অধিকর্তা (ডিজি)-র উদ্দেশে লেখা ওই্ চিঠিতে বিএসএফ আধিকারিক অভিযোগ করেন, তিনি প্রথম দিকে পাচার রোখার চেষ্টা করলে তাঁকে সরাসরি ‘ফ্রন্টিয়ার হেড কোয়ার্টার’ অর্থাৎ আঞ্চলিক সদর দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, গবাদি পশু পাচার রোখার চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে।