প্রতীকী ছবি।
ভিন্ রাজ্য থেকে চলতি মাসের গোড়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কয়লা পাচারের মামলায়। সেই ব্যবসায়ীকে এ বার গরু পাচার কাণ্ডে হেফাজতে পেতে চাইছে সিআইডি।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, হরিয়ানায় ধৃত ওই ব্যবসায়ীর নাম সঞ্জয় মালিক। দিল্লির প্রতাপপুরের বাসিন্দা এবং কয়লা কারবারি সঞ্জয় এখন আছেন আসানসোলে, জেল হাজতে। সিআইডি সূত্রের খবর, গরু পাচার মামলায় ওই ব্যবসায়ীকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট এসিজেএম আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সেই আর্জি মঞ্জুরও করেছে। ২৬ অগস্ট সঞ্জয়কে জেল থেকে আসানসোল আদালতে তোলার কথা।
সিআইডি-র একাংশের দাবি, ওই ব্যবসায়ী গরু ও কয়লা পাচারের মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল বারিক বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ। সিআইডি গত মাসে বারিককেও কয়লা পাচার মামলায় বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছিল। তিনিও এখন আছেন জেল হাজতে। পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, বারিককে বসিরহাট জেলা পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিতে চায়। সেই মর্মে তারা ইতিমধ্যে আদালতে আবেদনও করেছে।
গরু পাচার মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সেই মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই দু’জন গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করতেন। আগে গরু পাচারের মামলায় বারিক বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। তবে তাঁকে গ্রেফতার করেননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, সিবিআই গরু পাচার নিয়ে কঠোর অবস্থান নিতেই সিআইডি-ও গরু পাচারের তদন্ত শুরু করেছে। বছর পাঁচেক আগেকার দু’টি মামলার (একটি উত্তর ২৪ পরগনার মেটিয়া থানা এবং অন্যটি মুর্শিদাবাদের সুতি থানার) পুনর্তদন্ত চেয়ে পুলিশের তরফে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আর্জি মঞ্জুর হয় চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সিআইডি জানিয়েছে, তদন্তে নেমে তারা ওই এলাকার গরু ব্যবসায়ী-সহ বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে। গত কয়েক বছরে কত গরু বাংলাদেশে পাচার হয়েছে, সেই তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশের একটি অংশের বক্তব্য, দু’টি মামলার তদন্ত বছর পাঁচেক আগেই থেমে গিয়েছিল। ফলে নতুন কিছু তথ্য পাওয়া অসম্ভব। আবার সিবিআই ওই গরু পাচারের তদন্ত করছে। মনে করা হচ্ছে, সেই তদন্তের সঙ্গে পাল্লা দিতে সিআইডি-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy