ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্য ও কেন্দ্রের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রীদের বৈঠক। কিন্তু বুধবার আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবের সেই মঞ্চে অনুপস্থিত রইলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী। অনুষ্ঠানের প্রাথমিক সূচিতে রাজ্যের প্রতিনিধিত্বের কথা লেখা ছিল। কিন্তু এ দিন সকালে প্রকাশিত নতুন সূচিতে দেখা গেল, সূচিতে রাজ্যের প্রতিনিধির উল্লেখই নেই।
আবার কেন্দ্রের তরফেও এলেন অন্য প্রতিনিধি। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের বদলে এ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। যদিও প্রাথমিক সূচিতে নাম ছিল হর্ষ বর্ধনেরই। মুখোমুখি না-হলেও কেন্দ্রের নতুন প্রতিনিধির সঙ্গে পরোক্ষ তরজা চলল রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও সৌমেন মহাপাত্রের।
এ বার অনুষ্ঠান হচ্ছে কলকাতায়। তা হলে রাজ্যের মন্ত্রী নেই কেন? উদ্যোক্তারা জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সাড়া মেলেনি। অনুষ্ঠানের পরে একই কথা বলেন বাবুল। তাঁর মন্তব্য, কেন্দ্রের অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলাটাই এই রাজ্যের দস্তুর হয়ে গিয়েছে। যদিও রাজ্যের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘আমি ওই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পাইনি।’’
আরও পড়ুন: এক দিনেই গেরুয়ার তিন জন মনোনয়ন জমা দিলেন
অনুষ্ঠানে এসেছিলেন অসম, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, ওড়িশার মন্ত্রীরা। কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের মতে, এই ধরনের মঞ্চ রাজ্যে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক অনুদান ও বরাদ্দ আনতে সাহায্য করে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি থাকলে সেই সুযোগ পেতেন। তৃণমূল সরকারের প্রশ্ন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে বরাদ্দ মেলার কথা। তার জন্য আলাদা দরবার করতে হবে কেন?
রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বদল বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এ দিন কলকাতায় আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবের একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়ে রাজ্যের বন ও পরিবেশ দফতরকে চিঠি দিলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার উত্তর মেলে না।’’
তবে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘কেন্দ্রের কোনও চিঠি এলেই সঙ্গে সঙ্গে তার উত্তর দেওয়া হয়।’’ বাবুলের অভিযোগের সরাসরি উত্তর না-দিয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী ব্রাত্যবাবু বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দিতে হলে আমাদের প্রতিমন্ত্রী দেবেন। তবে তথ্যে এটা স্পষ্ট, দেশের মধ্যে বনসৃজনে আমরাই এগিয়ে আছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy