Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

উইপ্রোর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ঘিরে জট কাটল না কেন্দ্রে

রাজারহাটে উইপ্রোর দ্বিতীয় প্রকল্পের এসইজেড তকমা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল। কেন্দ্রীয় সরকারের এসইজেড সংক্রান্ত পরিচালন পর্ষদ বা বোর্ড অব অ্যাপ্রুভালসের কাছে রাজারহাটে বিশেষ আর্থিক অঞ্চল বা এসইজেড তৈরির আবেদন জানিয়েছিল উইপ্রো।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৬ ০৮:৫০
Share: Save:

রাজারহাটে উইপ্রোর দ্বিতীয় প্রকল্পের এসইজেড তকমা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল।

কেন্দ্রীয় সরকারের এসইজেড সংক্রান্ত পরিচালন পর্ষদ বা বোর্ড অব অ্যাপ্রুভালসের কাছে রাজারহাটে বিশেষ আর্থিক অঞ্চল বা এসইজেড তৈরির আবেদন জানিয়েছিল উইপ্রো। বুধবার পর্ষদের বৈঠকে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এ দিন বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের তরফেও উইপ্রোর এসইজেড নিয়ে কোনও সুপারিশ কেন্দ্রের কাছে যায়নি।

২০১০ সালে জমি পেলেও তৃণমূল সরকারের এসইজেড-বিরোধিতার কারণে থমকে রয়েছে ৫০ একর জমি জুড়ে উইপ্রোর প্রস্তাবিত দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ। যে সমস্যার জেরে আটকে রয়েছে ইনফোসিস প্রকল্পও। কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের সুপারিশ ছাড়াও এসইজেড-এর প্রাথমিক ছাড়পত্র পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা ছ’মাসের জন্য বৈধ থাকবে। তার মধ্যে পেতে হবে রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত সবুজ সঙ্কেত।

এ রাজ্যে দ্বিতীয় প্রকল্প তৈরি করতে গিয়ে গোড়া থেকেই হোঁচট খেয়েছে উইপ্রো। প্রথমে ছিল জমি সমস্যা। দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে উইপ্রোর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জমি বরাদ্দ করতে পেরেছিল বাম সরকার। ২০০৯-এ ডিসেম্বরের গোড়ায় রাজারহাটে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য জমি দেখে যান উইপ্রোর কর্ণধার আজিম প্রেমজি। তখনই তিনি জানান, ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু হবে।

এর পরে ২০১০ সালে বছরের প্রথম দিনেই জমির দাম বাবদ প্রথম কিস্তির চেক জমা দেয় উইপ্রো। চেকের অঙ্ক ১৮ কোটি ৯০ লক্ষ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। কাঠা প্রতি আড়াই লক্ষ টাকা দরে ৫০ একর জমি লিজে দেয় রাজ্য সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, জমির দাম ৭৫ কোটি টাকা। নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১১ সালের জুন মাস নাগাদ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু সরকার বদলের পর দ্বিতীয় প্রকল্প আর শুরু করা যায়নি। তখন বর্তমান ক্যাম্পাসেরই সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থা। এই ক্যাম্পাসই দেশের প্রথম তথ্যপ্রযুক্তি এসইজেড। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে ১৪.৫ একর জমিতে যেটি চালু হয়েছিল ২০০৫ সালে। আপাতত সেক্টর ফাইভে উইপ্রোর ক্যাম্পাসে আট হাজারের বেশি কর্মী কাজ করেন। সংস্থার নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই সংখ্যা ২০১৫ সালের মধ্যে
দ্বিগুণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থানাভাবে সেই পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত করা যায়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, উইপ্রোতে একর প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ জন কর্মী নেওয়ার চল রয়েছে। রাজারহাটে ৫০ একর জমিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে প্রায় ২০ হাজার কর্মীর জায়গা তৈরির পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু আপাতত ধোঁয়াশা রয়েই গেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

wipro Centre
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE