রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর)-র আবেদনপত্র (এনুমারেশন ফর্ম) ছাপানোর জন্য আধিকারিকদের দ্রুত প্রস্তুতি নিতে বললেন রাজ্যের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের এই প্রস্তুতি নিতে হলা হয়েছে। জেলাশাসকেরা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে কাজ করেন। রাজ্যে মোট যত ভোটার রয়েছেন, তার দ্বিগুণ সংখ্যক আবেদনপত্র ছাপানো হবে। সিইও দফতর সূত্রে খবর, এসআইআরের জন্য প্রায় ১৫ কোটি আবেদনপত্র ছাপানো হবে। এত সংখ্যক ফর্ম একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ছাপানো সম্ভব নয়। তাই কোন কোন জেলায় ফর্ম ছাপানো যাবে, সেই তথ্য রাজ্যের আধিকারিকদের কাছে জানতে চেয়েছে সিইও-র দফতর। মঙ্গলবার এসআইআরের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের একটি প্রশিক্ষণও দেন সিইও মনোজ আগরওয়াল। সেখানেই এই নির্দেশ দেন তিনি।
সিইও-র দফতর জানিয়েছে, কোনও জেলায় ছাপানোর ব্যবস্থা না-থাকলে কলকাতা থেকেই আবেদনপত্র ছাপিয়ে তা ওই জেলায় পাঠানো হবে। সিইও-র দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে এখন প্রায় ৭.৬৫ কোটি ভোটার রয়েছেন। তার দ্বিগুণ সংখ্যক ফর্ম ছাপানো হবে। এক জন ভোটারের জন্য ছাপানো হবে দু’টি করে আবেদনপত্র। একটি থাকবে ভোটারের কাছে। অন্যটি বুথ লেভেল আধিকারিকেরা (বিএলও) নিয়ে আসবেন।
কমিশন সূত্রে খবর, দিল্লির নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতিটি ভোটারের নাম, তথ্য লেখা আবেদনপত্র অনলাইনে পাঠানো হবে। সেই সব আবেদনপত্র এলেই ছাপানোর কাজ শুরু করতে হবে। সিইও-র দফতর জানিয়েছে, বিহারের ক্ষেত্রে একটি জায়গাতেই আবেদনপত্র ছাপানো হয়েছিল। এই রাজ্যে জেলায় জেলায় ফর্ম ছাপানোর কাজ হবে। কারণ, দ্রুত কাজ করতে হবে। আবেদনপত্র ছাপানো হলেই পঞ্চায়েত স্তরে তা পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ২০২৫ এবং ২০০২ সালের তালিকা মিলিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এর পরে রাজ্যের প্রায় দু’কোটির বেশি পরিবারের সদস্যদের নাম, তথ্য মিলিয়ে দেখতে হবে। এই শনাক্তকরণের কাজ হলেই এসআইআর সংক্রান্ত কাজের ৭০ শতাংশ শেষ হয়ে যাবে। বিহারের চেয়ে আবেদনের ফর্মে খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক কিছু পরিবর্তন হতে পারে। বিহারের মতোই ফর্মের তথ্য প্রায় ৯৫-৯৭ শতাংশ একই থাকবে।
আরও পড়ুন:
মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেন। বিহারে কী ভাবে এই প্রক্রিয়া হয়েছে, তা তুলে ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে রাজ্যের প্রায় চার হাজার আধিকারিক যোগ দেন। প্রশিক্ষণে ছিলেন ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এইআরও (অ্যাসিসট্যান্ট ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এডিএম এবং কয়েক জন জেলাশাসক। পুজোর আগে এসআইআর নিয়ে রাজ্যের বাকি ৭৫ হাজার বুথ লেভেল অফিসারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সিইও-র দফতর জানিয়েছে, ইআরও এবং এইআরও-রা বিএলও-দের প্রশিক্ষণ দেবেন। পুজোর আগে আগামী ২১-২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই প্রশিক্ষণের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।