Advertisement
E-Paper

ফের জেরা প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে

তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করে কিছু নথি সংগ্রহ করেছিলেন তদন্তকারীরা। এর পরেই রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারে‌রা দাবি করেছিলেন, সম্পত্তির বিষয়ে তিনি সব ঠিক তথ্য দিচ্ছেন না। তাই ফের বালি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিপিএম-এর অরুণাভ লাহিড়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:৪২

তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করে কিছু নথি সংগ্রহ করেছিলেন তদন্তকারীরা। এর পরেই রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারে‌রা দাবি করেছিলেন, সম্পত্তির বিষয়ে তিনি সব ঠিক তথ্য দিচ্ছেন না। তাই ফের বালি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিপিএম-এর অরুণাভ লাহিড়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ।

দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে দেড়টা নাগাদ অরুণাভবাবু নব মহাকরণে যান। সেখানে তিনি ফের তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত কিছু নথি জমা দেন। কিন্তু তদন্তে উঠে আসা তথ্যের সঙ্গে ওই সব নথির হিসেবে গরমিল দেখে ফের প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রে খবর, বালি পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রণব অধিকারী ও তাঁর ছেলে তন্ময়কে গ্রেফতারের পরে ২২ অগস্ট প্রথম জেরার জন্য অরুণাভবাবুকে ডাকা হয়। সে দিনই তিনি প্যান কার্ড, ভোটার কার্ডের জেরক্স জমা দেন। এর পরে ২৫ অগস্ট সকালে তিনি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও অন্য দীর্ঘমেয়াদি আমানত সম্পর্কে নথি জমা দেন। ওই দিন তাঁকে দফতরে বসিয়ে রেখেই প্রায় ১৫ জনের একটি তদন্তকারী দল বালিতে হানা দেয়। সেখানে অরুণাভবাবুর ফ্ল্যাট ও তাঁর শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি করা হয়। পরে পুলিশ জানায়, প্রাক্তন চেয়ারম্যান যে নথি জমা দিয়েছেন তার থেকে অনেক বেশি খালি খাম (দীর্ঘ মেয়াদি আমানত সংক্রান্ত) মিলেছে তাঁর বাড়ি থেকে।

পুলিশ জানায়, অরুণাভবাবুর প্যান কার্ডের তথ্য নানা সংস্থায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। সঙ্গে অরুণাভবাবুকেও ঠিক তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছিল। এর পরেই তিনি এক সপ্তাহ সময় চান। সেই মতো বৃহস্পতিবার তিনি হাজির হন দুর্নীতি দমন শাখায়।

যদিও প্রথম দিন নথি জমা দিয়ে তিনি দাবি করেন, সবই জমা দিয়েছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে এ কথা বলতেই এক সপ্তাহ সময় চেয়ে ফের কিছু নথি কেন জমা দিলেন তিনি, উঠেছে প্রশ্ন।

তবে ঘুসুড়ির এই ঘুষ-কাণ্ডের তদন্তে নেমে সন্তর্পণে পা ফেলতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, ওই ঘটনায় কিছু প্রাক্তন পুরকর্তা, বড় মাপের প্রোমোটার, দুষ্কৃতীরা জড়িত। তাই তাদের বিরুদ্ধে সব রকম জোরদার প্রমাণ খুঁজছে পুলিশ। অন্য দিকে, ২৯ অগস্ট আদালতে তোলা হলে প্রণব ও তন্ময়ের তিন মাসের জেল হেফাজত হয়।

Chairman police Bali KMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy