Advertisement
E-Paper

ছাত্র-বিক্ষোভে তপ্ত ময়নাগুড়ির স্কুল

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। অভিযোগ, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ওইদিন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের খরচে শিক্ষক দিবস পালনে উদ্যোগী হলে সেই অনুষ্ঠান আয়োজন করতে বাধা দেন প্রধানশিক্ষক তাপসচন্দ্র রায়। পড়ুয়াদের সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৪
ক্ষোভ: স্কুলের সামনে জমায়েত পড়ুয়াদের। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

ক্ষোভ: স্কুলের সামনে জমায়েত পড়ুয়াদের। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

ছাত্র বিক্ষোভে পড়াশোনা শিকেয় উঠল ময়নাগুড়ির আমগুড়ি রামমোহন হাইস্কুলে।

স্কুলের প্রধানশিক্ষক স্কুল চালাতে ব্যর্থ, এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত স্কুলের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখায় ওই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশ অনেকবার পীড়াপীড়ি করলেও ছাত্র-ছাত্রীরা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই আন্দোলন চালিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে স্কুলে আসেন ময়নাগুড়ির জয়েন্ট বিডিও অনিরুদ্ধ লাহিড়ী। তাঁর হস্তক্ষেপেই আন্দোলন ওঠে।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। অভিযোগ, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ওইদিন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের খরচে শিক্ষক দিবস পালনে উদ্যোগী হলে সেই অনুষ্ঠান আয়োজন করতে বাধা দেন প্রধানশিক্ষক তাপসচন্দ্র রায়। পড়ুয়াদের সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে ক্লাস বয়কটের ডাক দেয় স্কুলের উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের একাংশ। কিছুক্ষণের মধ্যে এক এক করে তাদের ওই আন্দোলনে যোগ দিতে শুরু করে নীচু ক্লাসের পড়ুয়ারাও। প্রধানশিক্ষক এ দিন না আসায় তাঁর ঘরেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্কুলের ঢোকা ও বেরনোর গেট দুটির মুখে বেঞ্চ পেতে শুরু হয় বিক্ষোভ।

ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ তোলে, স্কুলে ফ্যান, পানীয় জলের বন্দোবস্ত নেই। নেই খেলার মাঠ। প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসেন না। তাঁর দেখাদেখি বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকারাও স্কুল ফাঁকি দেন। তাদের আরও দাবি, মিড-ডে মিলের রান্নাঘর না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের মাঠে দাঁড়িয়ে খাবার খেতে হয়। পাশে স্কুলের শৌচাগার থাকায় দুর্গন্ধে টেকা যায় না। পড়ুয়ারা দাবি তোলে, স্কুল চালাতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানশিক্ষককে তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। তবেই আন্দোলন থামবে। না হলে অনির্দিষ্টকাল বন্ধ থাকবে স্কুল।

ঘটনাস্থলে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ গেলেও পড়ুয়াদের সরানো যায়নি। শেষে জয়েন্ট বিডিও অনিরুদ্ধ লাহিড়ী স্কুলে এসে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক বৈঠক করেন। সেখানে ময়নাগুড়ি কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মলয় রায় আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জয়েন্ট বিডিও বলেন, ‘‘বৈঠকে প্রধান শিক্ষক ছিলেন না। সেই কারণে শুক্রবার বিডিও অফিসে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগগুলি সত্য প্রমাণিত হলে অবশ্যই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি মলয় রায় বলেন, ‘‘প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিভাবক ও পড়ুয়াদের অভিযোগ রয়েছে। তারই প্রতিফলন ঘটল।’’ প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

School Agitation Student Mainaguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy