মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার থেকেই চালু হয়ে যাওয়ার কথা রাজ্য সরকারের ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি। সব ঠিকঠাক থাকলে, বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে এই কর্মসূচির সূচনা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। নবান্ন সূত্রে খবর, এটি চালু হয়ে গেলে সাধারণ মানুষ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে যোগাযোগ করে নিজেদের সমস্যা বা দাবিদাওয়ার কথা জানাতে পারবেন।
মে মাসের ২৬ তারিখে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিন বাকুঁড়ার পাত্রসায়রে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জনসংযোগ যাত্রা’ ছিল। কিন্তু পর দিনই সিবিআই তাঁকে কলকাতার দফতরে হাজিরা দিতে বলায় বাঁকুড়ার কর্মসূচি অসম্পূর্ণ রেখেই রওয়া দেন অভিষেক। তাঁর বদলে কলকাতা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পাত্রসায়রের জনসভায় বক্তৃতা দেন মমতা। সেই বক্তৃতাতেই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি দিয়ে সাধারণ মানুষের কথা শোনার বন্দোবস্ত করেছিল শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু এ বার আর দল নয়, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকেই সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার ব্যবস্থা করা হল। এ ক্ষেত্রে কী ভাবে সাধারণ মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের সমস্যার কথা জানাবেন, তা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই ঘোষণা করবেন তিনি। এমনকি কর্মসূচির চূড়ান্ত নাম কী হবে, তা-ও সে দিনই জানাবেন মমতা। তবে নবান্নের একাংশ মনে করছে, এই কর্মসূচির নাম হতে পারে ‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলো’ কিংবা ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’।
কর্মসূচির উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা এবং অন্য দফতরের সচিবরা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদেরও উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের একাংশ মনে করছেন, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ‘খারাপ’ ফলের পর ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি বড় ভূমিকা নিয়েছিল মমতার তৃতীয় বার মসনদে প্রত্যাবর্তনে। আগামী পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে তাই আবার এই ধরনের কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy