উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর চাঁদগ্রামে পুলিশ অভিযানের সময়ে মৃত্যুঞ্জয় বর্মণ (৩৩)-এর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকা থেকে বন্দুকের একটি খালি খোল উদ্ধার করল সিআইডি। একটি রক্ত-মাখা ওড়নাও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।
সিআইডি সূত্রের খবর, রবিবার তদন্তকারীরা ওই গ্রামে গেলে এক গ্রামবাসী তাঁদের হাতে গুলির ওই খোল তুলে দেন। যা তিনি ঘটনার পরের দিন এলাকা থেকে পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। সিআইডি-র সঙ্গে ছিল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। সিআইডি সূত্রের খবর, ঘটনার দিন যে পুলিশকর্মীরা অভিযানে গিয়েছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে জেলা পুলিশের কাছে। মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবারের কয়েক জন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা। এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া রক্ত-মাখা ওড়না দেখে গোয়েন্দাদের অনুমান, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে সেই রক্ত ওই ওড়নাতে লেগেছে। এক গোয়েন্দা কর্তা জানিয়েছেন, গুলির খোল এবং ওড়না ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। তাতেই বোঝা যাবে গুলির খোল কোন বন্দুকের। শনিবারেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। পাশাপাশি, ওই রাতে মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে পুলিশের উপরে হামলার পাল্টা অভিযোগেরও তদন্ত শুরু করেছে তারা। সিআইডি জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তারা মামলার সব নথি খতিয়ে দেখছেন।
২৬ এপ্রিল পুলিশ কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সদস্য বিষ্ণু বর্মণকে গ্রেফতার করতে যায়। অভিযোগ, তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাবাকে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেন মৃত্যুঞ্জয়। তখনই পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)