হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর পিছনে কোনও আর্থিক লেনদেন জড়িয়ে রয়েছে। তদন্তে নেমে এমনটাই মনে করছে সিআইডি। এই মনে হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে দাবি রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে। তবে সব মিলিয়ে এই তদন্তে তিন ব্যক্তি এবং একটি মিনি ব্যাঙ্কের যোগসূত্রকেই আতসকাচের তলায় এনে দেখতে চাইছেন গোয়েন্দারা। ইংরেজবাজার থেকে নিলয় সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে সিআইডির হাতে তুলে দেয় পুলিশ। মামুদ আলি নামে আর এক অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবেন্দ্রনাথের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর সোমবার তাঁর স্ত্রী চাঁদিমা দেবী পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সেখানে দুই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন তিনি— মামুদ আলি এবং নিলয় সিংহ। আবার ঝুলন্ত দেবেন্দ্রনাথের জামার পকেট থেকে যে চিরকুট পাওয়া গিয়েছে, সেখানেও ওই দু’জনের নাম, ছবি এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে লেখা ছিল— তাঁর মৃত্যুর জন্য এরাই দায়ী। এর পর পুলিশ মালদহের বাসিন্দা ওই দুই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করে। ইংরেজবাজার থেকে নিলয় সিংহকে ধরে সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁকে জেরা করে জানা যায়, নিলয় এক সময়ে রায়গঞ্জের সহকারি ব্যাঙ্ক (রায়গঞ্জ সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক)-এর কর্মী ছিলেন। সেখানে থাকার সূত্রেই আলাপ হয়েছিল দেবেন্দ্রনাথ রায়ের সঙ্গে। দেবেন্দ্রনাথের বাড়িতে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ভাড়াও ছিলেন।
শুধু চাঁদিমা দেবীর লিখিত অভিযোগপত্র বা দেবেন্দ্রনাথের চিরকুটই নয়, রায়গঞ্জ পুলিশের কাছে অন্য ভাবেও এই নিলয়ের নাম এসেছে। পুলিশের দাবি, বিধায়ক-মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার রাতেই মহিদুল রহমান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। মহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, হেমতাবাদের বিধায়ক বিভিন্ন সময়ে তাঁকে জানিয়েছিলেন, নিলয় সিংহ নামে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে বহু টাকার প্রতারণা করেছেন। সেই প্রসঙ্গে বিধায়ক নাকি বেশ কয়েক বার মোহিনীগঞ্জ মিনি ব্যাঙ্ক (মোহিনীগঞ্জ বারবারি কৃষি সমবায় সমিতি)-এর কথাও উল্লেখ করেছেন বলে পুলিশের কাছে জানান মহিদুল।