Advertisement
E-Paper

নজরে সুন্দরবন, বলছেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা

মূলত দরিদ্র পরিবারই শিশু পাচারকারীদের নজরে। এই তথ্য মাথায় রেখে সিআইডি গোয়েন্দাদের একাংশের অনুমান, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, বসিরহাট, স্বরূপনগর, হাসনাবাদ এবং বেড়াচাঁপার মতো এলাকাতেও বেআইনি নার্সিংহোম কিংবা ক্লিনিক খুলে শিশু বিক্রির ব্যবসা চলতে পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৬ ০১:০৭
এই সেই অ্যাম্বুল্যান্স। ছবি: নির্মল বসু।

এই সেই অ্যাম্বুল্যান্স। ছবি: নির্মল বসু।

মূলত দরিদ্র পরিবারই শিশু পাচারকারীদের নজরে। এই তথ্য মাথায় রেখে সিআইডি গোয়েন্দাদের একাংশের অনুমান, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, বসিরহাট, স্বরূপনগর, হাসনাবাদ এবং বেড়াচাঁপার মতো এলাকাতেও বেআইনি নার্সিংহোম কিংবা ক্লিনিক খুলে শিশু বিক্রির ব্যবসা চলতে পারে। এর সঙ্গে কিছু চিকিৎসক জড়িত বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

সিআইডি-র এক কর্তা এই প্রসঙ্গেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কয়েক বছর আগে হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি এবং নেবুখালিতে দু’টি ক্লিনিক থেকে শিশু বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। সিআইডি সে সময়ে ক্লিনিক দু’টি সিল করে দেয়। ওই ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছিল কয়েকজন। তবে ওই সব ক্লিনিক ফের চালু হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ওই সিআইডি অফিসার। ফের সুন্দরবন এলাকার অবৈধ নার্সিং হোম এবং ক্লিনিকগুলিতে অভিযান চালানো হবে বলেও জানান তিনি।

এ দিকে, তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মছলন্দপুরের ‘সুজিত দত্ত মেমোরিয়াল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’ যে অ্যাম্বুল্যান্সটি ব্যবহার করত, সেটিতে করে স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া এবং বসিরহাট সীমান্ত-লাগোয়া গ্রাম থেকে অসুস্থ বাংলাদেশি মহিলাদের আনা হতো নার্সিংহোমে।

চোরাপথে এ দেশে আসা বাংলাদেশিরাও ওই অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করত। অ্যাম্বুল্যান্স হওয়ায় তাতে নজরদারি কম থাকে বলে জানাচ্ছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। তবে কয়েক বছর আগে অনুপ্রবেশের ঘটনায় তদন্তে নেমে বসিরহাট এবং স্বরূপনগর সীমান্ত থেকে পুলিশ কয়েকটি অ্যাম্বুল্যান্স আটক করেছিল।

Child trafficking Sundarban CID
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy