Advertisement
E-Paper

Coal Smuggling: কয়লা: ১০ পুলিশকে তলব ভবানী ভবনে

বৃহস্পতিবার, তলবের প্রথম দিনে তিন পুলিশ ইনস্পেক্টর ভবানী ভবনে উপস্থিত হন। বেশ কয়েক ঘণ্টা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি-র এক জন স্পেশাল সুপার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২২ ০৬:৫৮
তলব করল সিআইডি।

তলব করল সিআইডি। ফাইল চিত্র।

পুলিশের তলব পুলিশকে।

কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার পাশাপাশি সিআইডি-র ‘সিট’ বা বিশেষ দলও কয়লা চুরি, পাচার এবং কয়লা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া বিভিন্ন মামলার তদন্ত করছে। সেই তদন্তেই এ বার দশ জন পুলিশ আধিকারিককে ভবানী ভবনে তলব করল সিআইডি। যে-সব পুলিশ আধিকারিককে ডাকা হয়েছে, তাঁরা ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত আসানসোল-সহ কয়লা খনি এলাকার বিভিন্ন থানার দায়িত্বে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, তলবের প্রথম দিনে তিন পুলিশ ইনস্পেক্টর ভবানী ভবনে উপস্থিত হন। বেশ কয়েক ঘণ্টা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি-র এক জন স্পেশাল সুপার। সিআইডি সূত্রের খবর, মূলত কয়লার পাচারের একেবারে মূলে পৌঁছতে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে কয়লা উত্তোলন থেকে বিভিন্ন সংস্থায় তা পৌঁছে দেওয়া হয়, ওই পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে তা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

এক গোয়েন্দাকর্তা জানান, কয়লা পাচারের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু সেই কাজে সেখানকার স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের ভূমিকা কী ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। একই সঙ্গে তদন্তে থানার তুলনায় নিচু পর্যায়ের কোনও কোনও পুলিশকর্মীর কোনও যোগাযোগ ছিল কি না, সেটাও জানার চেষ্টা চলছে।

সিআইডি-র সদর দফতর ভবানী ভবনের খবর, মাসখানেক আগে এডিজি (সিআইডি)-র নির্দেশে কয়লা চুরি ও পাচারের তদন্তে সিট গঠন করা হয়। কয়লা পাচার নিয়ে গত কয়েক মাসে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল, জামুড়িয়া, পাণ্ডবেশ্বর থানায় প্রায় সাতটি মামলা দায়ের করেছিল ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেড (ইসিএল)। সেই সব মামলায় কয়লা চুরি, তা পাচার করা এবং কয়লা নিয়ে দুর্নীতি-সহ বেশ কিছু অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই সব অভিযোগ নিয়েই প্রাথমিক ভাবে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি-র বিশেষ দল। তা করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে আছেন গরু এবং কয়লা পাচারে অভিযুক্ত দুই ব্যবসায়ী আব্দুল বারিক বিশ্বাস ও সঞ্জয় মল্লিক। প্রথমে কয়লা পাচারের মামলায় সিআইডি তাঁদের গ্রেফতার করলেও পরে গরু পাচার কাণ্ডেও ধৃত দেখানো হয় দু’জনকেই। বতর্মানে তাঁরা গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুলিশি হেফাজতে।

সিআইডি জানিয়েছে, যাঁরা কয়লা কিনে ব্যবসা চালাচ্ছেন, তাঁদের অনেকের কাছেই সমন পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে কোন উপায়ে তাঁরা কয়লা কিনছেন, তা জানাই মূল উদ্দেশ্য বলে সিআইডি সূত্রের খবর।

Coal Smuggling CID
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy