ফাইল চিত্র।
দলত্যাগী তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গী বলে পরিচিত কয়েক জনকে ইতিমধ্যে প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বার সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলায় এক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল সিআইডি। অর্চনা মজুমদার নামে ওই মহিলা চিকিৎসকও মুকুলবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে গোয়েন্দাদের দাবি। অর্চনাদেবী কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কর্মরত।
সোমবার ই-মেল করে ওই মহিলা চিকিৎসককে বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে হাজির হতে বলেছে সিআইডি। কর্মব্যস্ততার কারণে তিনি যদি ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে না-পারেন, তা হলে কোথায় গিয়ে গোয়েন্দারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, সিআইডি সেটাও তাঁকে জানাতে বলেছে।
অর্চনাদেবীকে এই ভাবে তলব করে আসলে মুকুলবাবুর উপরেই চাপ তৈরি করা হল বলে পুলিশ-প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিলেন মমতা
ঋতব্রতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন নম্রতা দত্ত নামে বালুরঘাটের তরুণী। ১১ অক্টোবর ধর্ষণের মামলা রুজু হয়। নম্রতা জানান, ১৫ অক্টোবর অর্চনাদেবী তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে এবং মোবাইলে ফোন করে ঋতব্রতের বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত অভিযোগ তুলে মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সব জানিয়ে বালুরঘাট থানায় জেনারেল ডায়েরিও করেছেন নম্রতা। এই পরিপ্রেক্ষিতেই অর্চনাদেবীকে ডাকল সিআইডি।
সিআইডি-র খবর, ওই মহিলা চিকিৎসকের কাছে জানতে চাওয়া হবে, নম্রতাকে ফোন করতে কে বা কারা তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। নম্রতার অভিযোগ, মুকুলবাবুর কথামতো অর্চনাদেবী তাঁকে ফোন করে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে চাপ দিচ্ছেন এবং এর কারণ, ঋতব্রত এখন আছেন মুকুলবাবুর সঙ্গেই।
গোয়েন্দাদের বক্তব্য, তাঁরা জানতে চাইবেন, নম্রতার ফোন নম্বর অর্চনাদেবীকে দিলেন কে? কেন তিনি নম্রতার অপরিচিত হওয়া সত্ত্বেও অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য আগ বাড়িয়ে তাঁকে পরামর্শ দিতে গেলেন? ওই ফোন করার পিছনে মুকুলবাবুর কী ভূমিকা, অর্চনাদেবীর কাছে তা-ও জানতে চাইবেন গোয়েন্দারা।
এক গোয়েন্দা-কর্তা বলেন, ‘‘মুকুল-ঘনিষ্ঠ বলে অর্চনা মজুমদারকে জিজ্ঞেস করা হবে, ধর্ষণের মামলার পরে ক’বার মুকুল-ঋতব্রত সাক্ষাৎ হয়েছে? সিআইডি-র দাবি, অক্টোবরে ঋতব্রত সাংহাই যান। সেই ব্যাপারেও অর্চনাদেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy