Advertisement
E-Paper

বাঁকুড়ায় উদ্ধার ৬ টন বিস্ফোরক তৈরির মশলা, সঙ্গে মিলল ডিটোনেটর, জিলেটিন স্টিক 

সিআইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১৩৩টি বস্তায় ছিল প্রায় ৬ হাজার ৬৫০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। মহারাষ্ট্রের একটি নামী সার কারখানা থেকে আনা হয়েছিল ওই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ২০:০০
১৩৩টি বস্তায় ছিল প্রায় ৬ হাজার ৬৫০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। নিজস্ব চিত্র।

১৩৩টি বস্তায় ছিল প্রায় ৬ হাজার ৬৫০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। নিজস্ব চিত্র।

পটাশিয়াম নাইট্রেটের পর এ বার অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। বুধবার রাতভর তল্লাশিতে বাঁকুড়া থেকে উদ্ধার হল সাড়ে ৬ টনের বেশি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। সঙ্গে বিপুল পরিমাণে ডিটোনেটর এবং জিলেটিন স্টিক।

সিআইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আধিকারিকরা বুধবার গভীর রাতে হানা দেন বাঁকুড়ার শালতোড়া থানা এলাকার কাশতোড়া গ্রামে। সেখানে মহম্মদ সামিরুদ্দিন খানের গুদামে হানা দিয়ে মেলে ওই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক তৈরি করার কাঁচামাল।

সিআইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১৩৩টি বস্তায় ছিল প্রায় ৬ হাজার ৬৫০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। মহারাষ্ট্রের একটি নামী সার কারখানা থেকে আনা হয়েছিল ওই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট।

রাতভর তল্লাশিতে উদ্ধার হয় এই বস্তাগুলিই। নিজস্ব চিত্র।

অন্য দিকে, ওই গুদাম থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৫২ হাজার ৫০০টি ইলেকট্রিক ডিটোনেটর। সেই সঙ্গে মিলেছে ১০৬ কার্টন জিলেটিন স্টিক বা পাওয়ার জেল। মাওবাদীরা আইইডি তৈরি করতে ওই পাওয়ার জেল এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে থাকে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তেলঙ্গানা এবং ঝাড়খণ্ড থেকে আনা হয়েছিল পাওয়ার জেল এবং ডিটোনেটর। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গুদাম থেকে একটি বোলেরো গাড়ি এবং মোটর সাইকেলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কী কারণে আনা হয়েছিল এই বিস্ফোরক, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিজস্ব চিত্র।

নির্বাচনের ঠিক আগে ওই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক কেন আনা হয়েছিল এবং গুদামে মজুত রাখা হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সিআইডি আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন, ওই এলাকায় প্রচুর পাথর খাদান রয়েছে। সেই পাথর খাদানেও বিস্ফোরণ ঘটাতে ওই মালমশলা ব্যবহার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে ওই তদন্তকারীদের সন্দেহ, পাথর খাদানের জন্যই চোরাপথে আনা হয়েছিল ওই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। তবে অন্য কোনও কাজে সেই বিস্ফোরক ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল কি না বা কোনও দুষ্কৃতী দলের হাতে ওই বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামাল ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। ডিআইজি সিআইডি (অপারেশন) নিশাত পারভেজ বলেন, “গুদামের মালিক ফেরার। আমাদের তল্লাশি এখনও চলছে। এ রকম আরও কোনও গুদাম আছে কি না তা-ও দেখা হচ্ছে।”

Explosives Gelatin Stick Bankura CID
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy