চিপ্স চুরির ‘অপরাধে’ পূর্ব মেদিনীপুরে এক শিশুকে রাস্তায় কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছিল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পরে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছিল সেই শিশু। তা নিয়ে শোরগোল এবং বিতর্কের আবহে পুরুলিয়াতেও সিভিকের ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ উঠেছে। সেখানেও পরিণাম— এক যুবকের মৃত্যু!
সিভিককর্মী এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ওই যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে পুরুলিয়ার চাকলতোড় গ্রামে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সিভিক মলয় পুইতুণ্ডি-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে হাজির করিয়ে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। চাকলতোড় গ্রামের যুবক তাপস মহাপাত্র বলরামপুর থানার উরমা গ্রামে গিয়েছিলেন। ওই দিন সেখানেই এক পরিচিতের বাড়িতে রাত কাটান তিনি। পরের দিনই তাপস চাকলতোড় গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই উরমা গ্রামের কয়েক জন তাপসের বাড়িতে চড়াও হন। তাঁদের সঙ্গে চাকলতোড় গ্রামেরও কয়েক জন ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাপস উরমা গ্রাম থেকে মোবাইল চুরি করে এনেছেন, এই অভিযোগ তুলে তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে এনে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে তাপসকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যান হামলাকারীরা। পরে ফোন করে তাপসের পরিবারকে জানানো হয় যে, তাপস বিষ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে পুরুলিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাপসের মৃত্যু হয়।
তাপসের মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবার টামনা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরিবারের অভিযোগ ছিল, গোটা ঘটনাই ঘটেছে টামনা থানায় কর্মরত সিভিক মলয়ের উপস্থিতিতে। তদন্তে নেমে মলয় ছাড়া পাঁচ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে আটক করা হয় মলয়কেও। তার পর তাঁদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করানো হয়।