রাখাল বেরা।
সেচ দফতরে আর্থিক প্রতারণা কাণ্ডে ‘শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ’ রাখাল বেরাকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হল। শনিবার গ্রেফতারের পর রবিবার রাখালকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আগামী ১২ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অভিযুক্ত রাখালকে জেরা করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। দফায় দফায় জেরা করে জানা গিয়েছে, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বহু মানুষের থেকেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন রাখাল। রাখাল ফোনে কাঁদের সঙ্গে কথা বলতেন, কাঁদের সঙ্গে প্রায়ই যোগাযোগে থাকতেন, সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িয়ে আছেন, সে বিষয়ে রাখালকে জেরা করা হতেই উঠে আসে চঞ্চল নন্দী নামে এক ব্যক্তি-সহ আরও বেশ কয়েকজনের নাম। চঞ্চল নন্দী এখন পলাতক। তিনি সেচ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তাঁর বাড়ি কাঁথিতে।
রাখালের বিরুদ্ধে অন্যান্য জেলা থেকে আরও বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার শুধু মানিকতলা থানাতেই আরও ৮-১০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। আদালতে রাখাল বেরার আইনজীবী বলেন, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলেই তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হচ্ছে।
রাজ্যের সেচ ও জল পরিবহণ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে বহু লোকের সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন রাখাল বেরা ও তাঁর সহযোগীরা, এমনই নামে অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাখালের বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় অভিযোগ করেন সুজিত দাস নামে অশোকনগরের এক বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সেচমন্ত্রী ছিলেন বিজেপি নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ সূত্রে খবর, রাখাল ‘শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ’। তবে এই ঘনিষ্ঠতার কথা রাজ্য প্রশাসনের তরফে সরকারি ভাবে কোথাও জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy