ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সুদের উপরে দুই শতাংশ করে ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার। বর্তমানে এই গোষ্ঠীগুলিকে বছরে ৪% করে সুদ দিতে হয়। রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওই চার শতাংশের মধ্যে অর্ধেকই মেটাবে সরকার। সোমবার নবান্নে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু সুদে ভর্তুকি নয়, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কোনও সদস্যের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে বা কর্মরত অবস্থায় পঙ্গু হলে তাঁর পরিবারকে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। স্বাভাবিক মৃত্যুতেও পরিবারকে ৪০ হাজার টাকা দেবে সরকার। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা যাতে ৬০ বছরের পরে এককালীন কিছু টাকা পান, তা নিয়েও রাজ্য ভাবছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, অর্থ দফতর মে মাসের মধ্যেই এ নিয়ে ঘোষণা করবে।
রাজ্যস্তরের ব্যাঙ্কগুলির যে কমিটি রয়েছে, এ দিন নবান্নে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে কৃষি, ক্ষুদ্র শিল্প, পঞ্চায়েতের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রীরাও ছিলেন। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি যাতে আরও বেশি করে ঋণ পায় তার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, অন্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি তুলনামূলক অনেক কম ঋণ দিচ্ছে। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এখন ৫০ লক্ষের মতো স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের জন্যই বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা রয়েছে।”
বিভিন্ন মহলে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে, মূলত বিপণনের অভাবেই বহু গোষ্ঠী উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। অনেক সময় ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করাটাও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য রাজ্যে ৫০০টির মতো বিক্রয়কেন্দ্র খোলা হবে। যেখানে বিনামূল্যে দোকান দিতে পারবে গোষ্ঠীগুলি।
মন্ত্রী বদল
পুরভোটের আগেই মন্ত্রীদের দায়িত্বে রদবদল করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রের খবর, পুরুলিয়ার মন্ত্রী শান্তিরাম হাঁসদার হাতে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠী সংক্রান্ত দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেতে চলেছেন ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। শান্তিরামবাবুকে দেওয়া হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের ভার। এখন ওই দফতর রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদার হাতে। তাঁকে আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের ভার দেওয়া হতে পারে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy