—ফাইল চিত্র।
পর্যটন কেন্দ্র দিঘাকে এ বার তীর্থক্ষেত্রের মর্যাদা দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরীর আদলে দিঘার সমুদ্র সৈকতে জগন্নাথ মন্দির ও সেই নামেই পরিচিত পুরনো একটি ঘাট ঘিরে এই পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চান, পুরীর মতোই পর্যটকেরা এখানে এসে তীর্থের অনুভূতিও পান।
রাজ্যে বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির দড়ি টানাটানির মধ্যেই বৃহস্পতিবার দিঘায় জগন্নাথের মন্দির ঘিরে তীর্থক্ষেত্র গড়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা বিজেপিকে চাপে রাখার কৌশল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। এ দিন দিঘায় পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে পর্যটন দফতরকে প্রকল্পটির বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখানে শুনেছি, একটি জগন্নাথ ঘাট আছে। জগন্নাথের মন্দিরও আছে। পুরীতে জগন্নাথের মন্দির আছে। বহু লোক যান। পুরীর মতো বড় না হলেও দিঘার মন্দির সাজিয়ে দেওয়া হলে পর্যটকেরা তীর্থক্ষেএ হিসেবে যেতে পারবেন। ঘাটটাও বাঁধিয়ে দিতে হবে।’’
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসাবে বিজেপিকে বারবারই তাদের হিন্দুত্বের দাবি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। চব্বিশ ঘণ্টা আগে বুধবারই জেলার বাজকুলে সরকারি পরিষেবা বন্টনের সভায় তাঁর পুরীর অভিজ্ঞতা টেনে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর হিন্দুত্ব অস্বীকার করে বিজেপি-ই তাঁকে পুরীর মন্দিরে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সেখানেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘তোমরা কে হরিদাস!’’ এ দিনের বৈঠকেও হিন্দুত্বের প্রশ্নে বিজেপির ‘একচ্ছত্র অধিকার’ ঘুরিয়ে নাকচ করেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা গঙ্গাসাগর সাজিয়েছি। তারকেশ্বর, তারাপীঠ করেছি। আবার মুসলমানদের পাথরচাপুরিও করে দিয়েছি।’’
মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় উৎসাহিত হয়েই বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূল বিধায়ক জোতির্ময় কর দিঘার এই ঘাটে সন্ধ্যারতির প্রস্তাব দেন। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য তা খারিজ করে বলেন, ‘‘সমুদ্রের পাড়ে বেশি ভিড়ে দুর্ঘটনার কথাও মাথায় রাখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy