ফাইল চিত্র।
আট বছরে প্রায় ৯ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছে রাজ্য সরকারের ‘খাদ্যসাথী’ পরিষেবা। সেই হিসেব হাতে নিয়ে এবার প্রত্যেকের ঠিকানায় সহযোগিতার আবেদন পৌঁছে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের পরিকল্পনা মতো জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে তৎপরতা। লোকসভা ভোটের মুখে এই উদ্যোগে সরকারি প্রকল্পে ‘রাজনৈতিক প্রতিদানের’ প্রত্যাশাই দেখছে বিরোধীরা।
ক্ষমতায় আসার পর মানুষকে সরাসরি ‘রিলিফ’ দিতে একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন মমতা। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ জড়িয়ে রয়েছেন এই ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পে। রাজ্যের হিসাব অনুযায়ী এই মুহূর্তে এই প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্তের সংখ্যা ৮ কোটি ৮৭ লক্ষ। সরকারি ভর্তুকি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে টানাপড়েন চললেও রাজ্য এখন একক ভাবেই এই প্রকল্পের দাবিদার। তা জানিয়েই প্রায় ৯ কোটি মানুষের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই চিঠিতে বলা হচ্ছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় এনে ২ টাকা কিলো চাল দেওয়া হচ্ছে। আগামিদিনে এই প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার সুযোগও চাওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। খাদ্য দফতরের তত্ত্বাবধানে এই রকম লক্ষ লক্ষ চিটি পাঠানো হচ্ছে জেলায় জেলায়।
লোকসভা ভোটের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত এই চিঠির পিছনে ভোটের রাজনীতি দেখছে বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘‘খাদ্যসাথী নাম দিয়ে এই যৌথ প্রকল্পটিকে রাজ্য একক ভাবে দেখাতে চাইছে। এখানে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থও রয়েছে। এই মিথ্য দাবি নিয়ে লোকসভা ভোটে ফায়দা তুলতে চাইছে শাসক দল।’’ একই অভিযোগ করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মানুষের কোটি কোটি টাকায় ভূতের শ্রাদ্ধ চলছে।’’ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘এত বড় কর্মযজ্ঞের কথা বিজেপি বা সিপিএম ভাবতে পারে না। তাই সবের সঙ্গেই ভোটকে জড়িয়ে বাধা দিতে চায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy