কোর কমিটির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: শৌভিক দে
তৃণমূলকে ভাঙতে বিজেপির তৎপরতায় নজর রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দলের বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সাত-আট জন বিজেপির সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ রাখছেন। আমার কাছে তালিকা আছে। ভোটে প্রার্থী করার কথাও বলছে। এই যোগাযোগ রাখবেন না।’’
বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে রাজ্যে ১০০ % আসন জয়ের লক্ষ্য আগেই জানিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তাঁর মনোভাব স্পষ্ট করে এদিন দলের বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘এখানে সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপিকে সাইনবোর্ডে পরিণত করতে হবে।’’ কেন এই অবস্থান, তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস দিল্লিতে আমাদের সাহায্য চায়। এখানে সিপিএমের সঙ্গে বোঝাপড়ে করে আমাদের বিরোধিতা করছে।’’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সম্পর্কেও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে সিপিএমকে।’’ এই প্রেক্ষাপটে বিজেপির সঙ্গে দলের একাংশের যোগাযোগের বিষয়টি সামনে আনেন তিনি। নির্দিষ্ট করে দলের প্রবীন বিধায়ক তথা বিধানসভার গুরুত্বপূর্ণ এক পদাধিকারীর নাম করে তিনি বলেন, ‘‘আপনাকে ফোন করছে তো? আমি জানি।’’ তারপরই মমতা বলেন, ‘‘টাকাপয়সার কথাও বলছে। ওদের ফোন ধরবেন না।’’
জাতীয়স্তরের অবিজেপি দলগুলিকে একমঞ্চে আনতে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়ে রেখেছেন মমতা। এদিনের বৈঠকে সেই সমাবেশের জন্য আলাদা একটি কমিটিও তৈরি করে দিয়েছেন দলনেত্রী। অবিজেপি আঞ্চলিক দলগুলিকে ওই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ রাজ্যে সিপিএম সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এদিনের বৈঠকে মমতা জানিয়েছেন বাম শরিক সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক-সহ কেরলের সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী পি বিজয়নকেও বিজেপি-বিরোধী ওই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কংগ্রেসের সনিয়া ও রাহুল গাঁধীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে অবিজেপি জোট গঠন নিয়ে মমতার সঙ্গে দেখা করতে যে টিআরএস-এর প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও সবার আগে নবান্নে এসেছিলেন, তাঁর বর্তমান অবস্থান দেখে ব্রিগেডের সভায় তাঁদের ডাকা হচ্ছে না বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy