ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে তাঁদের অধীনস্থ সব কলেজে ফাঁকা আসন ভরতে ভর্তির পোর্টাল ফের খোলার অনুমতি দিল উচ্চশিক্ষা দফতর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষা দফতরকে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। উচ্চশিক্ষা দফতর সেই অনুমতি দিয়েছে। সেই নির্দেশিকা বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও পাঠানো হয়েছে।
শনিবার আশিসবাবু বলেন, ‘‘আসন খালি থাকলে কলেজগুলি পোর্টাল খুলে দিক। কবে পোর্টাল বন্ধ করতে হবে তা খুব তাড়াতাড়ি জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরী বলেন, ‘‘নির্দেশিকা পেয়েছি। সব কলেজকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
ভর্তি-দুর্নীতি আটকাতে রাজ্য জুড়ে স্নাতকে ভর্তির প্রক্রিয়া এ বছর সম্পূর্ণ অনলাইন পদ্ধতিতে হচ্ছে। ৭ জুলাই ভর্তির শেষ দিন নির্ধারিত করা হয়েছিল। কিন্ত ভর্তি প্রক্রিয়ার মাঝপথে আসন ফাঁকা থাকার আশঙ্কা দেখা দেয়। অধ্যক্ষদের বক্তব্য, একটি কলেজে পড়ুয়া ক্লাস শুরু করে দিলে অন্য কলেজে ভর্তি হওয়া আসনগুলিও ফাঁকা পড়ে থাকবে। যে আসনগুলি ফাঁকা পড়ে থাকবে তাতে আর নতুন করে ভর্তি করা যাবে কি না, সে নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা ছিল না।
নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানান, তাঁর কলেজে তফসিলিভুক্ত পড়ুয়াদের জন্য নির্দিষ্ট প্রায় ৭০০ আসন ফাঁকা রয়েছে। ফের ভর্তির পোর্টাল চালু করায় পড়ুয়া ও কলেজ কর্তৃপক্ষ, উভয়েরই সুবিধা হল। আলিপুরের সিস্টার নিবেদিতা সরকারি গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণা রায় জানান, তাঁর কলেজেও তফসিলিভুক্ত পড়ুয়াদের প্রায় ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা।
মহেশতলা কলেজের অধ্যক্ষ রুম্পা দাশ জানালেন, তাঁর কলেজে প্রায় ৬০ শতাংশ আসন খালি রয়েছে। নির্দেশের কথা জানতে পেরেই তাঁরা ভর্তির পোর্টাল খুলে দিয়েছেন। তাঁর মতে, এক মাত্র কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হলেই আসন খালি থাকার সমস্যা দূর হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy