ফাইল চিত্র।
আত্মতুষ্টিতে ভুগেই বিধানসভা ভোটে ফল খারাপ হয়েছে বলে দলীয় সভায় মন্তব্য করলেন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রচারে এ বার বিধানসভা ভোটে বঙ্গ-বিজয় নিয়ে প্রত্যয় ছিল তুঙ্গে। বাস্তবে অবশ্য তা হয়নি। গত বারের তুলনায় আসন বাড়লেও বড়সড় ধাক্কাই খেয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই সূত্রেই শুভেন্দু রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে বিজেপির মণ্ডল কমিটির কার্যকারিণী সভায় কর্মীদের উদ্দেশে স্পষ্ট বলেন, ‘‘আপনাদের অনেকেই নিজেদের প্রার্থীদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলেছেন। অনেকেই আত্মতুষ্টিতে ভুগেছেন যে, এই জেলায় ১৬টি আসন, রাজ্যে ২৯৪টা। ১৭০-১৮০টা তো হয়েই যাবে। চণ্ডীপুরটা হারলে হারুক। নন্দকুমার তো জিতে গিয়েছে, ভগবানপুর তো জিতে গিয়েছে, খেজুরি জিতে গিয়েছে, নন্দীগ্রাম জিতে গিয়েছি। এই করতে গিয়ে অনেকে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করেছেন।’’
পাশাপাশি মুকুল রায়-সহ বেশ কিছু নেতার তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে বিজেপি কর্মীদের বিচলিত না হওয়ার নিদানও দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘এ গেল, সে গেল বলে যা টিভিতে দেখায়, তাতে এতটুকু বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। মুকুলবাবু কোনও দিন কোনও ভোটে জেতেননি। কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে লোকসভা ভোটে বিজেপির ৫০ হাজার ভোটের লিড ছিল। ওই আসনে দলের সহায়কের কাজ করেন এমন লোককে প্রার্থী করলেও জিতত। তাঁর ছেলের ব্যবসা রক্ষায় মুকুলবাবু তৃণমূলে গিয়েছেন। তাতে আমাদের কী!’’
এ দিন নন্দকুমারেও দলের কার্যকারিণী সভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। বিধানসভা ভোটের হতাশা ভুলে পঞ্চায়েতে সব হিসেব পাল্টে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র অবশ্য বলছেন, ‘‘কর্মীদের চাঙ্গা করতে শুভেন্দুবাবু এখন অনেক ব্যাখ্যাই দেবেন। কিন্তু বাস্তব হল বাংলার মানুষ বিজেপিকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। ভবিষ্যতেও দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy