E-Paper

বাংলাদেশির টাকা আত্মসাৎ,নালিশ রেলপুলিশের বিরুদ্ধে

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাসিন্দা মিন্টু মল্লিক জানান, তিনি মাঝেমধ্যে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদ্‌রোগের চিকিৎসা করাতে আসেন।

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৫ ০৯:৩৪
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসা এক বাংলাদেশিকে ভয় দেখিয়ে টাকাকড়ি ও মোবাইলের সিমকার্ড কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল রেলপুলিশের (জিআরপি) বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের পাবনা জেলার ওই বাসিন্দা দেশে ফিরে ই-মেল মারফত রেলপুলিশের কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ ডিভিশনের রেলপুলিশ সুপার জে মার্সি বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যা উঠে আসবে, সে মতো পদক্ষেপ করা হবে।”

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাসিন্দা মিন্টু মল্লিক জানান, তিনি মাঝেমধ্যে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদ্‌রোগের চিকিৎসা করাতে আসেন। থাকেন হুগলির চণ্ডীপুর-ভগবতীপুরে তাঁর কাকার বাড়িতে। গত ২০ জুন তিনি ভারতে আসেন। মঙ্গলবার দেশে ফেরার জন্য তিনি শিয়ালদহ স্টেশনে সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের গেদে লোকাল ধরতে যান। কাকা সাবর মল্লিক তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

মিন্টুর অভিযোগ, তাঁর কাকা যখন টিকিট কাটতে গিয়েছেন, এক অপরিচিত এসে তাঁর পরিচয় ও গন্তব্য জানতে চায়। তিনি পরিচয় দিলে সে পাসপোর্ট দেখতে চায় এবং তার পরেই আচমকা তাঁর মোবাইলফোন নিয়ে নেয়। এ দিন ফোনে মিন্টু বলেন, “ওই লোকটির সঙ্গে আরও দু’জন, মোট তিন জন ছিল।সাদা পোশাকে থাকলেও ওরা নিজেদের রেলপুলিশ বলে পরিচয় দিচ্ছিল। পরে খাঁকি পোশাক পরা আরও এক জন আসে।”

মিন্টুর কথায়, “মোবাইলে সিমকার্ড আমার কাকার ছেলের নামে জানতে পেরে ওরা আমাকে চেপে ধরে। আমি কেন অন্যের সিম ব্যবহার করছি সেই প্রশ্ন তুলে জেল খাটানোর ভয় দেখাতে থাকে। ইতিমধ্যে টিকিট কেটে কাকা চলে এলে ওরা আমাদের স্টেশন চত্বরেই একটা ঘরে নিয়ে যায়।” সাবর মল্লিকের অভিযোগ, “ভাইপোকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুনয়-বিনয় করলে ওরা টাকা চায়।” মিন্টুর দাবি, তাঁদের কাছে ভারতীয় মুদ্রায় ৩,৩০০ টাকা এবং বাংলাদেশি মুদ্রায় চার হাজার টাকা ছিল। ভারতীয় ১০০ টাকা ও বাংলাদেশি ৫০০ টাকা তাঁদের রাখতে দিয়ে বাকিটা নিয়ে নেওয়া হয়। মোবাইলের সিমকার্ডও লোকগুলো খুলে নিয়েছে বলে মিন্টুর অভিযোগ।

পরে গেদে স্টেশনে পৌঁছে তাঁরা বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের লোকজনকে বিষয়টি জানান। দেশে ফিরে মিন্টু রেলপুলিশ সুপারকে ইমেল করেন। ‘গেদে ল্যান্ড পোর্ট সোসাইটি’র সভাপতি দীনবন্ধু মহলদার বলেন, “আগেও আমরা একাধিক বার এই ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। মিন্টু মল্লিকের অভিযোগপত্র রেল এবং রেলপুলিশের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেব।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Indian Railways

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy