Advertisement
E-Paper

থানায় ঢুকে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ

থানায় ঢুকে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল মহকুমাশাসকের (রামপুরহাট) বিরুদ্ধে। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, থানার গেট তালাবন্ধ করে তাঁকে বেরোতে দেয়নি পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:১৭

থানায় ঢুকে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল মহকুমাশাসকের (রামপুরহাট) বিরুদ্ধে। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, থানার গেট তালাবন্ধ করে তাঁকে বেরোতে দেয়নি পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে রামপুরহাট থানার এই ঘটনায় চর্চা শুরু হয়েছে বীরভূম জেলা পুলিশ-প্রশাসনের অন্দরে।

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে সাড়ে ৪টে নাগাদ মহকুমাশাসক শ্রুতিরঞ্জন মহান্তি হঠাৎ থানায় উপস্থিত হন। সঙ্গে ছিলেন এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশের দাবি, তিনি ঢুকে আইসি-র খোঁজ করেন। তাঁকে না পেয়ে ডিউটি অফিসারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। জেনারেল ডায়েরি খুলে দেখার পরে তা ছুড়ে ফেলেন। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে এসডিপিও অভিষেক রায় থানায় ছুটে আসেন। পুলিশ থানার দু’টি গেটই বন্ধ করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে থানা থেকে বেরোতে সমর্থ হন মহকুমাশাসক।

জেলা পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘আমিও বুঝতে পারছি না, ঠিক কী কারণে মহকুমাশাসক রামপুরহাট থানায় গিয়েছিলেন। তবে খবর পেয়েছি, উনি থানায় ঢুকে জেনারেল ডায়েরির খাতা ছুড়ে ফেলেন। বিশদে খোঁজ নিচ্ছি। এখনও কোনও অভিযোগ হয়নি।’’ মহকুমাশাসক অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘থানায় কিছু অনৈতিক কাজ চলছে খবর পেয়ে ওখানে যাই। কিন্তু, গেট বন্ধ করে আমাকে আটকে দেওয়া হয়।’’ দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘মহকুমাশাসক আমাকে থানা থেকে বারবার ফোন করেন। তিনি জানান, আইসি-কে সকাল থেকে ফোনে না পেয়ে তিনি থানায় যান। তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপারকে জানাই। আপাতত সমস্যা মিটে গিয়েছে।’’

Complaint Police Misbehave SDO
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy