প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষা নয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল একাদশ শ্রেণি থেকে দ্বাদশে ওঠার বার্ষিক পরীক্ষায়! অভিযোগ, বুধবার পরীক্ষার শেষ দিনে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে জীববিদ্যা পরীক্ষা শুরুর আগেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ওই প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে চলে আসে। পরে দেখা যায়, হাতে পাওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মোবাইলে আসা প্রশ্নপত্র হুবহু মিলে গিয়েছে। গত মঙ্গলবার রসায়নের প্রশ্নপত্রও ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
বহরমপুরের মহারানি কাশীশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সৃজনী দাস বলে, “সাড়ে ১২টা নাগাদ আমার মোবাইলে একটি গ্রুপে প্রশ্নপত্র আসে। তার সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিল পেয়েছি।”
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, প্রশ্নপত্র বিলির সময় কোনও সমস্যা হয়নি। হলে দ্বাদশের প্রশ্নপত্র নিয়েও সমস্যা হত। কারণ, তাঁরা একাদশ ও দ্বাদশের প্রশ্নপত্র একসঙ্গেই পাঠান। সংসদ-প্রধান বলেন, ‘‘আমাদের কাছে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। একাদশের প্রশ্নপত্র আমরা করি। পরীক্ষা অবশ্য স্কুল নিজেরাই নেয়। ছাত্রছাত্রীরা নিজের স্কুলেই পরীক্ষা দেয়, সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকারাই খাতা দেখেন। একাদশের পরীক্ষার সঙ্গে আমরা সরাসরি জড়িত নই।’’
মুর্শিদাবাদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বলেন, “আমি কিছুই জানি না। কেউ কোনও অভিযোগও করেনি।” বহরমপুর শহরের চুয়াপুর বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষিকা শিল্পী সেন বলেন, “রসায়নের প্রশ্নপত্র মেয়েরা আগে জানতে পেরেছে বলে শুনেছি। কিন্তু জীববিদ্যার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা শুনিনি। যে-পদ্ধতিতে পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র পৌঁছয়, তাতে স্কুল থেকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা নেই।”
পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির রাজ্য সভাপতি হীরালাল মণ্ডলের অভিযোগ, যে-সব স্কুলশিক্ষক গৃহশিক্ষকতা করেন, তাঁদেরই একাংশ এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক দুলাল দত্ত বলেন, “এই ধরনের ঘটনা প্রতি বছরই কেন ঘটে, সেই প্রশ্নের জবাব শিক্ষা দফতরকেই দিতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy