E-Paper

স্কুলে বিষয়ই নেই, অথচ ল্যাবরেটরির টাকা মঞ্জুর

সম্প্রতি ১০৮৪টি সরকার পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ল্যাবরেটরির জন্য ২৩ কোটি ৯ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মঞ্জুর করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর।

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ০৫:৩৫

—প্রতীকী চিত্র।

স্কুলে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা পড়ানোই হয় না। অথচ অভিযোগ, তাদের ওই বিষয়গুলির ল্যাবরেটরি উন্নত করার সরকারি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে! প্রাথমিক ভাবেই এমন তিনটি স্কুলের নাম সামনে এসেছে এবং তার পরেই টাকা বরাদ্দের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শিক্ষা দফতর অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখারও আশ্বাস দিয়েছে।

সম্প্রতি ১০৮৪টি সরকার পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ল্যাবরেটরির জন্য ২৩ কোটি ৯ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মঞ্জুর করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই স্কুলগুলির তালিকার পাশে লেখা আছে কোন কোন বিষয়ের ল্যাবরেটরির জন্য কত টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। সেই তালিকা থেকেই এই তিনটি স্কুলের নাম সামনে এসেছে। তাদের কারও পদার্থবিদ্যার ল্যাবরেটরির জন্য ৭০ হাজার, কারও জীববিদ্যার ল্যাবরেটরির জন্য ৬০ হাজার টাকা মঞ্জুর করার কথাও লেখা।

ওই তিন স্কুলের অন্যতম নদিয়ার গাইনপাড়া পল্লিসম্মিলনী বিদ্যাপীঠ। তাদের পদার্থবিদ্যা, জীববিদ্যা, রসায়নের ল্যাবরেটরির জন্য টাকা মঞ্জুর হলেও পর্ষদের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, ওই স্কুলে এখন ওই তিন বিষয় নেই। একই ভাবে পর্ষদের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে চৌগাছা পানুগোপাল স্কুলেও ওই তিনটি বিষয় নেই। তাদের জন্যও টাকা মঞ্জুর হয়েছে। গাইনপাড়া পল্লিসম্মিলনী স্কুলের প্রধান শিক্ষক শম্ভু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে এখন ওই তিনটি বিষয় এখন নেই। কিন্তু আগে ছিল। আমরা ফের ওই তিনটি বিষয় পড়াতে বলে পর্ষদকে আবেদন করেছি। তাই হয়তো অর্থ মঞ্জুর হয়েছে।’’ চৌগাছা পানুগোপাল স্কুলের কর্তৃপক্ষকে অনেক বার ফোন করা হয়। ফোন বন্ধ ছিল।

কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘যে পদ্ধতিতে জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে ল্যাবরেটরির অনুদান পাওয়ার জন্য স্কুলের নাম যাচ্ছে তা স্বচ্ছ নয়। যাদের সত্যিকারের প্রয়োজন তারা অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন।’’ মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘যাদের ওই তিনটি বিষয় নেই তাদের নাম তালিকায় আছে। যদি শিক্ষা দফতরের কর্তারা স্কুল পরিদর্শন করে এই তালিকা করতেন তা হলে অস্বচ্ছতা থাকত না।’’ শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘যে সব স্কুলে ওই তিনটি বিষয় নেই অথচ অনুদান পেয়েছে, তারা সম্ভবত নিজে থেকেই আবেদন করেছে। তাদের এই সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Schools Laboratory Funds

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy