এই সেই ব্যানার। নিজস্ব চিত্র
বিজয়া সম্মিলনীর ব্যানারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ছত্রধর মাহাতোর পাশাপাশি ছবি। এই ছবি নিয়েই আপত্তি উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে। ছত্রধরের অতীতই আপত্তির কারণ। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, বিধানসভা ভোটে ছত্রধরই হবেন জঙ্গলমহলের মুখ। এই ছবি তারই স্বীকৃতি।
ঝাড়গ্রাম ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে আজ, বুধবার দুপুরে সরডিহা বাংলো ময়দানে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের বেশ কিছু প্রচারমূলক ব্যানারে দলনেত্রীর ছবির পাশেই রয়েছে করজোড়ে ছত্রধরের ছবি। আমন্ত্রণপত্রেও লেখা হয়েছে, ‘তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোর নেতৃত্বে এবং জেলা ও ব্লক তৃণমূলের নেতৃত্ববৃন্দের উপস্থিতিতে বিজয়া সম্মিলনী’। ব্যানারগুলিতে ওই কর্মসূচির আহ্বায়ক হিসেবে ঝাড়গ্রাম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নরেন মাহাতোর নাম লেখা হয়েছে। নরেন হলেন ছত্রধরের জনসাধারণ কমিটির আন্দোলনের পুরনো দিনের কর্মী।
এগারো বছর আগে লালগড়ের সিপিএম কর্মী খুনের মামলায় সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার এড়িয়েছেন ছত্রধর। ছত্রধরকে রাজ্য সম্পাদক করার পর থেকেই বিরোধীরা তাঁকে নিশানা করে তৃণমূল-মাওবাদী যোগাযোগের পুরনো অভিযোগ উস্কে দিচ্ছেন। সেই কারণে তৃণমূলের একাংশ ছত্রধরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন। সোমবার জামবনি ব্লক তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে রাজ্য সম্পাদক ছত্রধরকে ডাকা হয়নি। তবে মঙ্গলবার লালগড় ব্লকের কর্মী সম্মেলনে অবশ্য ছত্রধর হাজির ছিলেন। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুব্রত সাহা বলেন, ‘‘ছত্রধর মাহাতো রাজ্য সম্পাদক। সেই কারণেই হয়তো কর্মীরা ব্যানারে তাঁরও ছবি রেখেছেন। এতে বিতর্কের কিছু নেই।’’ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতা মানছেন, ‘‘দলের একাংশ ওই ছবি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। ব্লক নেতৃত্বকে সতর্কও করা হয়েছে।’’
ঝাড়গ্রাম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নরেন মাহাতো বলেন, ‘‘কয়েকটি ব্যানারে রাজ্য সম্পাদক ছত্রধরদার ছবি রয়েছে। ওই ব্যানার দলের কর্মীরা বানিয়েছেন। তবে অনুষ্ঠান মঞ্চে কেবল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে।’’ ছত্রধর কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। ফোন করা হলে বলেন ‘‘একটু ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy